বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
বগুড়া সদর উপজেলার নামুজা ইউনিয়নে ঔষধ আনার কথা বলে বাড়ী থেকে বের হয়ে সকালে মিললো গাছে ঝুলন্ত লাশ। নিহত ব্যক্তি সে সদর উপজেলার নামুজা শাহপাড়া এলাকার মৃত কাইয়ূম উদ্দিনের পুত্র আবেদ উদ্দীন (৬০)।
নিহতের স্ত্রী আঞ্জেলা বেগম জানান, বুধবার সন্ধ্যায় ঔষধ কেনার কথা বলে বাড়ী থেকে বের হয়। এরপর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। স্ত্রী আঞ্জেলা তখন থেকেই সম্ভাব্য স্থানে তালাশ করেও তার কোন সন্ধান পায় না। একপর্যায়ে মেয়েদের বাড়ীতে মোবাইল ফোনে খোঁজ নিলে সেখানেও তার খোঁজ মেলে না। কোথাও যখন আবেদ উদ্দীনকে পাওয়া যাচ্ছেনা তখন সারা-রাত তাদের দুশ্চিন্তায় কাটে। এরপর আবেদ উদ্দীনের মেয়ে সকালে পিতার খোঁজে মায়ের বাড়ীতে যাওয়ার সময় নামুজা ইউনিয়নের মজিদপাড়া নলপুকুর নামক স্থানে ভুট্টা ক্ষেতের পাশে একটি গাছে পিতার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে চিৎকার করেন।
গাছে ঝুলন্ত লাশের সংবাদ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে এক নজর দেখার জন্য সেখানে হাজার হাজার নারী-পুরুষের ভিড় জমে।
লাশটি গাছের সাথে গলায় গামছা বাঁধা অবস্থায় পা মাটিতে ঝুলে ছিল। এবং মুখের ভেতর বকন গাছের পাতা গুজিয়ে দেয়া ছিল।
এরপর স্থানীয়রা সদর থানায় অবহিত করলে পুলিশ এসে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এলাকার একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিহত আবেদ উদ্দীন ছিল একজন সাদাসিধা মনের মানুষ। সে বেশি একটা মানুষের সাথে মেলামেশা করতে পছন্দ করতেন না। একা চলাফেরা করতে বেশি পছন্দ করতেন। তবে বেশ কিছু দিন তাকে আতঙ্কিত মনোভাবে চলাফেরা করতে দেখেছেন বলে তারা জানান।
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রউফ বলেন, নিহতের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
Leave a Reply