নিজস্ব প্রতিবেদক //
বরিশাল নতুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালে ফুটপাতে চাঁদাবাজিকে প্রতিহত করায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন আওয়ামী লীগের দোষররা।
বরিশাল বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে আওয়ামী লীগের দোষর আকতার হোসেন খোকা বাদী হয়ে, মো.সাকিবুল হক রাসেল (৩৫) খান শাওন (৩২) মো. আলাউদ্দিন আলাল (৫৫) আঃ ছালাম মল্লিকে আসামী করে এই মামলা দেয়।
সূত্র জানায়, এয়ারপোর্টে থানার আওতাধীন নতুল্লাবাদ বাসটার্মিনালে বিগত স্বৈরশাসকের আমলে
(মৃত) বাবুল শরীফের ছেলে মুন্না শরীফের নেতৃত্বে, নতুল্লাবাদ বাস-টার্মিনালকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সিন্ডিকেট তৈরি করে, ফুটপাত সহ বিভিন্ন স্থান থেকে , প্রতিনিয়ত চাঁদার টাকা তোলা হতো কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম বিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পড়ে, পালিয়ে যায় স্বৈরশাসক সরকার শেখ হাসিনা সহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ছাত্রদের সহযোগিতায় বেশ কয়েকমাস ভালো গেলেও, সম্প্রতি সময়ে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য মুন্না শরিফ, আক্তার হোসেন খোকা, রিপন ওরফে বগা রিপন, জিন্নাহ, জুয়েল, ওবায়দুল ইসলাম ওরফে (মাসুদ) সহ তাদের সহযোগীরা সিটি কর্পোরেশনের খালকে অবৈধভাবে দখল করে দোকান প্রতি ফুটপাতে ব্যবসায়ীদের থেকে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকার চাঁদা দাবি করে।
ফুটপাত ব্যবসায়ীরা আক্তার হোসেন খোকাদের চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে, বেশ-কয়েকজন
ফুটপাত ব্যবসায়ীদের কাঁচামাল ও দোকানের যাবতীয় জিনিসপত্র খালের পানিতে ফেলে দেয়।
এতে করে ভুক্তভোগী এক নারী বরিশাল ব্রজ মোহন কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের সহযোগিতা চাইলে তাৎক্ষণিক খান শাওন সহ তাদের সহযোগীরা এসে আক্তার হোসেন খোকাদের কাছে জানতে চাইলে তারা ছাত্রদের ওপর চড়াও হয় এবং আক্তার হোসেন খোকা ও বগা রিপনের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ছাত্রদের উপর সন্ত্রাসী হামলা করে।
এবং ছাত্রদের অবরুদ্ধ করে রাখে এক পর্যায়ে সাধারন ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আক্তার হোসেন খোকা, বগা রিপন সহ তাদের সহযোগীদের গণধোলাই দেয়।
গণধোলাইয়ের এক পর্যায়ে চাঁদা-বাজদের পুলিশের কাছে দিতে চাইলেও পুলিশ তাদের নিতে অস্বীকার করেন।
এ বেপারে বিএনপি নেতা সাকিবুল হক রাসেল সাথে একান্ত আলাপ করলে তিনি জানান, ছাত্রদের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও জিম্মি হওয়ার কথা সুনে উদ্ধার ও সকল বিষয় জানার জন্য ঘটস্থলে উপস্থিত হই।
আমি কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মেনেই রাজনীতি করে আসছি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মিথ্যা মামলা সহ বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়েছি।
আর বর্তমানে ও রাজনৈতিক একটি প্রতিপক্ষ মহল, যারা সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে চাঁদা-বাজি সাধারণ মানুষের উপর জুলুম থেকে শুরু করে নতুল্লাবাদ এলাকায় তৈরি করেছেন গণ হয়রানির আখড়া। বক্তব্যে আরো জানান, এরা সবাই আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী এরা জুলাই আগষ্ট জুড়ে স্বৈরাচার সরকারের নির্দেশে নতুল্লাবাদ এলাকায় ছাত্রদের উপর দেশিও অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে।
আখতার হোসেন খোকা যিনি খুনি জিয়াউল আহসানের ভাই, সন্ত্রাসী লেটু বিপ্লবের অস্ত্র বহন করতেন। এই সন্ত্রাসী বাহিনী আবারও নতুল্লাবাদে সন্ত্রাসবাদ কায়েম করতে চায়।
তিনি আরো জানান, এর আগেও মুন্না শরীফ, ও আকতার হোসেন খোকা, ফুটপাত ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে চাঁদা বাজি করে তখনও আমি তাদের চাঁদাবাজিতে বাঁধা দেই আর সেই সূত্র ধরে আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ৩০ তারিখ ঘটনার সময় সাকিবুল হক রাসেল, ও আলাউদ্দিন আলাল ঘটনাস্থলে না থাকলেও তাদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়। তাদের আসলে ঘটনার সাথে কোন সম্পৃক্ততা নেই। সাকিবুল হক রাসেল আরো নথুল্লাবাদে কাউকে চাঁদা না দেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের কাছে আহ্বান জানান।
ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, আকতার হোসেন খোকা, মুন্না শরীফ বগা রিপন সহ তাদের সহযোগীদের কারণে ব্যবসায়ীরা স্বাধীন মত ব্যবসা করতে পারেন না চাঁদার জন্য ফুটপাত ব্যবসায়ীদের প্রতিনিয়ত করে হয়রানি।
তারা আরো জানান, প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন থাকবে, যাতে করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করলে, তারা কোন রকম মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
অপরদিকে এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ জাকির হোসেন বলেন, ঘটনার দিন খবর শুনেছি তবে কোন অভিযোগ পাইনি যদি অভিযোগ পাই তাহলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply