1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
বাঁচানো গেল না সেই রহিমাকে - dainikbijoyerbani.com
শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন
ad

বাঁচানো গেল না সেই রহিমাকে

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই, ২০২১
  • ৬০ Time View

আসিফ জাহান

বিশেষ প্রতিনিধি কুলাউড়া

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ সেই রহিমা বেগম (২০) মারা গেছেন। বুধবার (১৪ জুলাই) রাত দশটায় তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত রহিমা বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের রফিক উদ্দিনের মেয়ে।

রহিমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর ছোট ভাই রাজু আহমদ। বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় তিনি মুঠোফোনে বলেন, আমার বোন আর নেই। হাসপাতালের ডাক্তাররা অনেক চেষ্টা করলেন। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো গেল না।

বড়লেখা থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার রহিমা বেগমের মৃত্যুর বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন। বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় মুঠোফোনে তিনি বলেন, রহিমা বেগম আজ রাতে মারা গেছেন। তাঁর লাশ এখন ওসমানী হাসপাতালে রয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

নিহত রহিমার পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজনের নির্যাতন সইতে না পেরে প্রায় সাত মাস আগে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন গৃহবধূ রহিমা বেগম। গত ৪ জুলাই ভোররাতে বাবার বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় রহিমার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন স্বামী শিপন আহমদ। ঘটনার পরই তিনি পালিয়ে যান। এতে রহিমার হাত-মুখসহ শরীরের প্রায় ৬৩ শতাংশ পুড়ে যায়। রহিমার চিৎকার শুনে স্বজনরা তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়। সেখান থেকে আবার তাঁকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর ওই হাসপাতালেই রহিমার চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু বুধবার (১৪ জুলাই) রাত ১০টার দিকে রহিমা বেগম সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

এদিকে রহিমাকে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় রহিমার ভাই রাজু আহমদের দায়ের করা মামলায় রহিমার স্বামী শিপন আহমদ এবং শ্বাশুড়ি আনুরি বেগম কারাগারে রয়েছেন। শিপন আহমদ উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের আরেঙ্গাবাদ গ্রামের মুকুল মিয়ার ছেলে।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি