হাকিকুল ইসলাম খোকন ,সিনিয়র প্রতিনিধি:
লকডাউন কার্যকর করতে হলে খেটে খাওয়া দিনমজুর, বাসের হেলপার, রিকশাচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, বাসা বাড়ির কাজের বুয়া, নির্মান শ্রমিক, বেদে ও চা–শ্রমিকদের জন্য সরকারের সহায়তা দিতে হবে। ভয় দেখিয়ে লকডাউন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়৷
‘‘লকডাউনে গরিব মানুষ কী খাবে৷ তাদের ঘরে রাখা যায় কীভাবে তার সুনির্দিষ্ট পরিকলল্পনা দিতে হয়৷ তাদের যদি খাবার না থাকে, আয় না থাকে তাহলে তাদের ঘরে আটকে রাখা যাবে না৷ তাই তাদের যা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করতে হবে৷ আর মানুষ যাতে ঘরে বসে খাদ্য ও জরুরি সেবা পেতে পারে তার সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে না পারলে লকডাউন কার্যকর করা অসম্ভব৷’’ ভয়েসলেস পিপলকেও এর আওতায় আনতে হবে। এভাবে প্রান্তিকজন যুক্ত করলে সংখ্যাটা ১ কোটি ছাড়াবে। রাষ্ট্র এদের সাহায্য দিলেও ব্যক্তি পর্যায়ের বা বিত্তবানদের এগিয়ে আসার দরকার ফুরাবে না। ধনীরা সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ। তাদের কম সাড়া দুঃখজনক। কেউ হয়তো নীরবে দিচ্ছেন, কেউ অল্প দিয়ে প্রচার বেশি করছেন।
আমাদের অন্তত ২ কোটি মানুষের খাদ্যের সংস্থান এখনই করতে হবে।খবর বাপসনিউজ।
সোমবার (২৮ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্তজা ও মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, করোনার প্রথম বছরের ক্ষয়ক্ষতি এখনও সাধারণ মানুষ সামলে উঠতে পারেনি। এর মধ্যে দ্বিতীয় ঢেউ সাধারণ মানুষকে অসহায় করে তুলেছে। কর্মহীন, দরিদ্র থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আজ সকাল থেকে রাজধানীর সড়কগুলোতে দেখা গেছে রিকশার দাপট। সুযোগ পেয়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া হাঁকাচ্ছে। বাধ্য হয়ে ৫০ টাকার ভাড়া দেড়শ’ টাকা দিয়ে রিকশায় চড়ে অনেকে ছুটে চলেছেন গন্তব্যের দিকে।
রিকশাওয়ালাদের পকেট কাটার বেশি শিকার হয়েছেন অফিসগামীরা। সকাল থেকে সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে কোনো গাড়ি না পেয়ে বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়া গুণে অফিসের দিকে ছুটে চলেছেন তারা। সাধারণ মানুষ রিকশা ওয়ালাদের কাছে জিম্মি না হতে পারে, সে ব্যাপারেও সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রত্যেকে প্রত্যেকের অবস্থানে মানবিক হতে হবে।দোষারোপের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে জাতীয়ভাবে ঐক্য সৃষ্টি করে এই করোনাকালীন মহাদূযোর্গ সম্মিলিত চেষ্টায় ও আন্তরিকতায় কাটিয়ে উঠতে হবে।
নেতৃবৃন্দ মগবাজার ওয়্যারলেস গেটে ভয়াবহ গ্যাস বিস্ফোরণে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের সকলের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।যারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন, রাষ্ট্রীয় তাদের সম্পূর্ণ চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহবান জানান এবং যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেক পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ও দাবি তোলেন।
Leave a Reply