মোংলা প্রতিনিধি
মোংলায় অজ্ঞান পার্টির ৩ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব ও পুলিশ’র যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। সোমবার দুপুরে মোংলা বন্দরের দ্বিগরাজ শিল্প এলাকার সরকার মার্কেট থেকে তাদের আটক করে স্থানীয়রা। পরে জনতার হাত থেকে তাদের উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খুলনা র্যাব-৬ এর হেফাজতে নেয়া হয়েছে। সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে মোসাম্মাৎ রানী বেগম নামের মোংলা বন্দরের সাবেক কর্মচারী এক বৃদ্ধ নারী বন্দরের শিল্পাঞ্চলের আল-আরাফাহ ব্যাংক থেকে পেনশনের টাকা তুলে ভ্যান যোগে বাড়ী যাচ্ছিলেন। পথি মধ্যে অজ্ঞান পার্টির ৩ সদস্য কৌশলে ওই ভ্যানে উঠে পানির সাথে কিছু খাইয়ে তাকে অজ্ঞান করে টাকাগুলো নিয়ে নেয়। পরে ভ্যানটি বাড়ী দিকে না নিয়ে দ্বিগরাজ বাজারের দিকে নেয়ার সময় ওই নারী ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুটে আসে। রাস্তার পাশে ভ্যানটি ফেলে রেখে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে তাদের আটক করে।
এছাড়া, ওই একই অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা গত ৫নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আল-আমিন নামের বন্দরের এক কর্মকর্তা তার পিতাকে নিয়ে জমি কেনার জন্য মোংলা থেকে চুলকাঠী যাওয়ার পথে বাসে বসে কৌশলে বোতল জাত পানি খাওয়ায় আল-আমিনকে। কিছুক্ষন পর সে জ্ঞান হারিয়ে বসার সিটে ঘুমিয়ে পরলে তার কাছে থাকা তিন লক্ষ টাকা নিয়ে নেয়। অন্য সিটে বসা তার বাবা এ সময় এ্যাম্ভুলেন্স যোগে দ্রুত খুলনা সিটি মেডিকেলে চিকিৎসা দিয়ে ৫ দিন পর সুস্থ্য হয় ভুক্তভোগী আল-আমিন। তবে সোমবার বিকালে তাদের দেখে আল-আমিন চিনতে পারে বলে জানায় র্যাব সদস্যরা।
এরা হচ্ছে, আব্দুল লতিফ শেখ’র ছেলে দেলোয়ার শেখ (৪০), মৃত নকিম উদ্দিন শেখ’র ছেলে আঃ সালাম শেখ (৪২) ও মৃত ফুল মিয়া শেখ’র ছেলে মোঃ কামরুল ইসলাম শেখ (৩৮)। আটক অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের বাড়ী খুলনার রুপসা বাগমারা এলাকায় বলে জানায় পুলিশ। খবর পেয়ে মোংলাা থানার এস আই রফিকুল ইসলাম সহ একদল পুলিশ ও র্যাব-৬ এর যৌথ দল বিকাল সাড়ে ৪টায় স্থানীয় জনতার হাত থেকে তাদের উদ্ধার করে র্যাব হেফাজতে নেয়। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, পরে তাদের মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হবে বলেও জানায় পুলিশ।
র্যাব-৬ এর কম্পানী কমান্ডার পুলিশ সুপার মোঃ বদরুদ্দুজা জানান, মোংলা বন্দরের শিল্পাঞ্চলের সরকার মার্কেট এলাকা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জনতার হাত থেকে তাদের ৩জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসকল অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা মোংলা ও বন্দর এলাকায় ব্যাংকগুলোর আশ পাশে থাকে। গ্রহকরা টাকা তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় সুযোগ বুঝে কৌশলে খাবারের সাথে কিছু মিশিয়ে জ্ঞানহানী করে সর্বস্ব লুটে নেয়। এদের সাথে কারা জড়িত তা জানার জন্য জিজ্ঞাবাদ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের শেষে থানার মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে বলেও জানায় র্যাব-৬ এর এ কর্মকর্তা।
Leave a Reply