বায়জিদ হোসেন, মোংলাঃ
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে মঙ্গলবার সকাল থেকে মোংলাসহ সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বাতাস বইতে শুরু করেছে। ভোর থেকে আকাশে কখনো রোদ আবার কখনো মেঘাচ্ছন্ন দেখা গেছে। তবে, এর মধ্যেও বন্দরের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। আবহাওয়া অফিস থেকে জারি করা মোংলা সমুদ্র বন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত মঙ্গলবারও বহাল রয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ও হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন বলেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে, অবস্থা বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিস্থিতি খারাপ হলে করণীয় সকল প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছেন উপজেলা প্রশাসন, পৌর কর্তৃপক্ষ ও বনবিভাগ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, ১০৩টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত ও পর্যাপ্ত শুকনো খাবার মজুত রাখা হয়েছে। পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, এ বিভাগের ৪৩টি রেঞ্জ, স্টেশন ও ক্যাম্পগুলোকে সতর্ক থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি খারাপ হলে দুর্বল স্থাপনা ছেড়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্যান্য মূল্যবান মালামাল ও কাগজপত্র নিয়ে বনবিভাগেরই পার্শ্ববর্তী বহুতল পাকা ভবনে ওঠার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এদিকে অশনির প্রভাবে সোমবার পশুর নদীতে জোয়ারের পানি না বাড়লেও মঙ্গলবার স্বাভাবিকের তুলনায় তা বাড়বে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডর প্রকৌশলী আব্দুল আলিম।
Leave a Reply