বায়জিদ হোসেন, মোংলাঃ
ক্যালেন্ডারে বাংলা মাসের পাতায় মাঘের প্রথম সময় গুনছে। ফাগুন-হাওয়ায় বসন্তের আভাসে এবার বাংলার শীত যেন বদল ছুঁয়ে ফেলেছে। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি চলছে মোংলা সহ পাশ্ববর্তী এলাকায়। গতকাল শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকেই শুরু করে আজ শনিবার দিনভর গুড়িগুড়ি এই বৃষ্টি চলছেই। বৃস্টির সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় এবার শীত নতুন রূপে নেমেছে। তবে এই বৃষ্টি জনজীবনে ব্যাঘাত সৃস্টি করলেও অপ্রত্যাশিত এ বৃষ্টি কৃষি ও কৃষককে অনেকটাই প্রশমিত করতে পেরেছে। খনার বচনে আছে, যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্য রাজার পূর্ণ দেশ। শেষ মাঘে আকস্মিক বৃষ্টিতে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে সর্বস্তরের মানুষ। আমের মুকুল ধরে রাখতেও বৃষ্টির উপকারিতাও রয়েছে। লিচু, পেঁয়াজ, রসুনের জন্যও এই বৃষ্টি কিছুটা উপকারি। তবে সেচ নির্ভর বোরো ধান আবাদে চাষীদের জন্য অনেকটা স্বস্তি এনে দিয়েছে এই বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে কৃষকরা এখন আগাম পাট চাষের প্রস্তুতি নিতে পারবে। সুর্য্যরে মুখ দেখা মেলেনি গত ৩ দিন ধরে। অপরদিকে দিনভর বৃষ্টির কারণে শহর ও গ্রামের রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের চলাচল কমে গেছে। মোংলা শহরতলী বাসিন্দা রিকশাচালক ওসমান আলী (৫৪) বলেন, ৮ বছর ধরে আমি ভ্যান চালাই। বৃষ্টির কারণে রাস্তাত মানুষ জন কম, কামাইও কম। তারপরও পেটের দায়ে ভ্যান চালাছি। কিন্তু বৃষ্টির সাথে ঠান্ডা হাওয়া শরীরটাক একখেরে কাবু করে দিছে।
এদিকে হঠাৎ এই বৃষ্টিপাতে মোংলা পৌর শহরে যানবাহন চলাচলও তাৎক্ষণিকভাবে কমে যায়। এতে বিপাকে পড়েছেন বাজার থেকে ঘরমুখী মানুষ। হাতে গোনা কয়েকটি টমটম, ভ্যান ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক দেখা গেলেও বৃষ্টির অজুহাতে খেয়াল-খুশিমতো ভাড়া হাঁকছেন চালকেরা। ছাতা মাথায় কেউ কেউ বেরিয়ে পড়লেও অনেককেই পলিথিন মাথায় দিয়ে পথ চলতে দেখা গেছে।
Leave a Reply