যাত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারনা করার অভিযোগ রাজিব পরিবহন চালকের বিরুদ্ধে।
স্টাফ রিপোর্টার : যাত্রীরা নিরাপদে ফিরতে চায় গন্তব্যে, কিন্তু কিছু গাড়ির চালক যাত্রীদের সাথে মিথ্যে অভিনয় করে প্রতারনা করে যাচ্ছে। এমনি একটি অভিযোগ উঠেছে পাথরঘাটা টু ঢাকা রুটে চলাচলে রাজিব পরিবহন চালক মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে। সময়টা দেশে তখন করোনা ভাইরাস ২০২০ সাল। ঠিক তখন থেকে রাজিব পরিবহনে বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা নামক স্থানের একজন নারী যাত্রী ঢাকায় যাতায়াত করতেন। তখনকার সময়ে চালক মোক্তার হোসেন পাথরঘাটা ডৌয়াতলা হয়ে ঢাকা রুটে রাজিব পরিবহনের গাড়ি চালাতো। সেই সময়ে ভুক্তভোগী ওই নারী যাত্রীর সাথে পরিচয় হয় এবং বেশ কিছুদিন যাবত মোবাইল ফোনে কথা বলে। তারই সূত্র ধরে হঠাৎ একদিন চালক মোক্তার হোসেন বিয়ের প্রস্তাব দেন এবং তাকে বিয়ে করলে ঢাকায় বাসা করে রাখবে। এদিকে চালক মোক্তার হোসেনের আগে তার স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে সেই কথা গোপন রাখে। পরে ভুক্তভোগী নারী, চালক মোক্তার হোসেনের বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয় এবং ঢাকায় একটি বাসা ভাড়া করে স্ত্রীর পরিচয়ে ওই নারীকে রাখে। প্রায় সময়ে রাজিব পরিবহন চালক মোক্তার হোসেন ওই বাসায় যাতায়াত করতেন। এদিকে চালক মোক্তার হোসেন ভুক্তভোগী নারীর সরলতার সুযোগে বিভিন্ন সময়ে কৌশল করে প্রায় ৩/৪ লক্ষধিক টাকা হাতিয়ে নেয় বলে জানান ভুক্তভোগী ওই নারী। এদিকে ভুক্তভোগী নারী যখন চালক মোক্তার হোসেনকে পাওনা টাকা ও বিয়ের কাবিনের কথা বলে ঠিক সেই সময় থেকে শুরু হয় নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি। সেই সুত্র ধরে উক্ত বিষয়টি গাড়ির জগতের লোকজন সহ মোক্তার হোসেনের পরিবারের লোকজন জানতে পারে। তারই ধারাবাহিকতায় গত পহেলা এপ্রিল ২০২৫ সালে রাজিব পরিবহন চালক মোক্তার হোসেন তার স্ত্রী খাদিজা বেগম সহ পরিবারের একাধিক লোকজনদের নিয়ে ভুক্তভোগী নারীর বাসায় গিয়ে হামলা চালায়। বিষয়টি যখন বাসার মালিক টের পায় তখন মোক্তার হোসেন সহ তার সাথে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়। এতে ভুক্তভোগী ওই নারী গুরুতর আহত হয় এবং ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থ হয়। সেই থেকে ভুক্তভোগী ওই নারী রাজিব পরিবহনের ম্যানেজার সহ একাধিক লোকজনের কাছে মৌখিক অভিযোগ দিয়েও কোন সুরাহা পায়নি। ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, আমার সাথে রাজিব পরিবহনের চালক মোক্তার হোসেন যে প্রতারনা করেছে এমন প্রতারনা যেন আর কারো সাথে না করে। আমি উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই। এর আগেও চালক মোক্তার হোসেন আয়েশা ও মাসুমা নামের দুই নারীর সাথে এমন প্রতারনা করেছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। এমনকি বিভিন্ন সময়ে কৌশলে চালক মোক্তার হোসেন নিজের টাচ ফোন দিয়ে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও করে রেখে দেয় যা এখন বর্তমানে সোস্যাল মিডিয়া ছেড়ে দিবে বলে রীতিমতো হুমকি প্রদান করে আসছে বলে জানান ভুক্তভোগী ওই নারী। বিষয়টি সম্পর্কে অভিযুক্ত চালক মোক্তার হোসেনের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, ভুক্তভোগী নারীর সাথে আমার পরিচয় আছে কিন্তু তাহার সাথে আমার বিবাহ হয়নি। তারপরও সে ভূয়া কাবিন নামা তৈরি করে ইতিপূর্বে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়েছে এবং বরগুনা ডিবি কার্যালয় মামলা করেছে এবং আমার কাছে যে ডকুমেন্ট আছে তা ইতিমধ্যে বরগুনা ডিবি কার্যালয়ে জমা দিয়ে আসছি। টাকা নেওয়ার বিষয় অস্বীকার করে চালক মোক্তার হোসেন জানান, কোনো প্রমাণ ছাড়াই সে প্রতিনিয়ত আমাকে হয়রানি করে আসছে।
Leave a Reply