শ্রীমঙ্গলে বেইলি ব্রিজ ভেঙ্গে যান চলাচল সীমিত
ঝুঁকিপূর্ণভাবে যানবাহন চালিয়ে যাচ্ছেন চালকরা।
আমির উদ্দিন জেলা প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা একটি বেইলি ব্রিজের একটি অংশ ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে ব্রিজে যান চলাচল সীমিত করা হয়েছে। তবে যান চলাচল সীমিত করার পরেও ঝুঁকিপূর্ণভাবে যানবাহন চালিয়ে যাচ্ছেন চালকরা। উপজেলার শ্রীমঙ্গল টু সিন্দুরখান সড়কের শাহ জাহানপুর শিববাড়ি সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে বেইলি ব্রিজের এমন অবস্থা চোখে পড়ে। দ্রুত ব্রিজটি মেরামত কিংবা ব্রিজে যানবাহন চলাচল বন্ধ না করলে যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে রোববার সকালে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন লোক এই ব্রিজের মাঝ বরাবর বাশের খুঁটি বেধে দিচ্ছেন। বিজ্রের এক পাশের দুইটি স্টিলের পাটাটন এর নাট বল্টু খুলে ও ঝালাই খুলে যাওয়ার কারনে যখনই কোন যানবাহন উঠছে বিকট শব্দ করে পাটাটনগুলো নরাচরা করছে। ব্রিজে ঠিক মাঝখানে স্টিলের পাটাটনের নিচের স্টিলের পিলার ভেঙ্গে গিয়ে এক জায়গায় নিচু হয়ে গেছে। যানবাহন এর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এই জায়গায় ফাক তৈরী হয়। আবার যানবাহন সরে গেলে ফাক বন্ধ হয়। ব্রিজের এই ঝুকিপূর্ণ অবস্থা থাকা সত্বেও সিএনজি, জিপগাড়ি চলছে। ব্রিজের দুই পাশে কয়েকটি মালবাহী ট্রাক দাড়িয়ে রয়েছে।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের শ্রীমঙ্গল টু সিন্দুরখান সড়কের শাহ জাহানপুর শিববাড়ি সংলগ্ন বেইলি ব্রিজটি দিয়ে উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়ন, সিন্দুরখান ইউনিয়ন, রাজঘাট ইউনিয়নসহ আশপাশের প্রায় করেক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।
এই রাস্তায় চলাচলকারী ট্রাকের চালক আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, এই ব্রিজটি অনেক দিন ধরেই বেহাল অবস্থায় । এক সাইডের পাটাটন খুলে রয়েছে অনেক আগে থেকেই। নাট বল্টুও নাই অনেক জায়গায়। সরকারি লোকজন তো এই বিষয়টি জানতেন। কিন্তু ব্রিজটি কাজ করান নি। আজ ব্রিজের ঠিক মাঝখানে স্টিলের পাটাটন খুলে একটি বড় গাড়ির চাকা ডেবে যা, এখন টনক নড়েছে। যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটতো তাহলে এর দায় কে নিতো? আমরা সব সময়ই দেখি কোন দূর্ঘটনা না ঘটলে সরকারি লোকেদের টনক নড়ে না। দুর্ঘটনার পর সবাই আসে।
সিএনজি চালিত অটো রিকশার চালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রায় বছর খানেক ধরেই এই ব্রিজটি চলাচলের অনুপোযোগী। বিকল্প রাস্তা না থাকায় আমরা এই ব্রিজটি ব্যবহার করে থাকি। এতদিন ধরে ব্রিজটি নষ্ট। আমরা যখন সিএনজি নিয়ে এই ব্রিজে উঠি অনেক ভয় হয়। অনেক শব্দ হয়। তবুও ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের নিয়ে আমরা যাতায়াত করছি। বড় বড় যানবাহনও এখানে চলাচল করে। এখন দেখলাম বাশ দিয়ে বড় যানবাহন না চলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেটা আগে করলে ব্রিজটি ঠিক থাকতো।
শাহজাহানপুর এলাকার নাজিম মিয়া বলেন, ব্রিজের একটি অংশ ভেঙ্গে গেলেও যানবাহন চলছেই। এটির দ্রুত মেরামত কিংবা ব্রিজের যাতায়াত বন্ধ না করলে যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরজ্জামান খান বলেন, আমরা ব্রিজটি আজ সকালে পরিদর্শন করে এসেছি। এটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আমরা ব্রিজটিতে বড় যানবাহন না চলার জন্য বাশ বেধে দিয়েছি। শুধুমাত্র রিকশা, মোটর সাইকেল ও সিএনজি চলছে। আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। আমরা দ্রুত ব্রিজটি মেরামত করছি। আমরা এতদিন খোঁজ খবর নিয়েছি। বড় যানবাহন না চলার জন্য বলা হয়েছিল। এই ব্রিজে বড় যানবাহন চলার কারনেই ব্রিজটির পাটাতন খুলেছে।
Leave a Reply