1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
সরকারের জায়গা কেন্দ্র করে ব্যাবসা করছে খাসিয়া সম্প্রদায় ও ভোগান্তিতে বনায়ন উপকারভোগি - dainikbijoyerbani.com
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন
ad

সরকারের জায়গা কেন্দ্র করে ব্যাবসা করছে খাসিয়া সম্প্রদায় ও ভোগান্তিতে বনায়ন উপকারভোগি

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৮৫ Time View

আসিফ জাহান

বিশেষ প্রতিনিধি কুলাউড়া

সামাজিক বনায়নের একেকজন উপকারভোগীর উপর ৫-৭টি করে খাসিয়াদের করা মামলা রয়েছে। শুধু মামলা নয় একাধিক হামলার শিকার হয়ে কেউ হারিয়েছেন চোখ, কেউ দাত, কেউবা ভাঙা হাত পা নিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। তাই সামাজিক বনায়নে এখন আর কেউ উপকারভোগী হতে আগ্রহী নয়। ফলে কুলাউড়া উপজেলায় সৃজিত সামাজিক বনায়নগুলো রক্ষা করা এখন বনবিভাগের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে।

বনবিভাগ সুত্রে জানা যায়, সামাজিক বানয়ন হলো স্থানীয় দরিদ্র জনগণকে উপকারভোগী হিসেবে সম্পৃক্ত করে পরিচালিত বনায়ন কার্যক্রম যার প্রত্যক্ষ সুফলভোগীও উপকারভোগী হয়ে থাকেন। বনায়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যা, বনজ সম্পদের নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা, লভ্যাংশ বন্টন ও পুন:বনায়ন সব কাজেই তারা ওতোপ্রোতভাবে জড়িত থাকে। ভূমিহীন, দরিদ্র, বিধবা ও দুর্দশাগ্রস্থ গ্রামীণ জনগণের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা নিশ্চিত করাই সামাজিক বনায়নের প্রধান লক্ষ্য।

সামাজিক বনায়নের মূল উদ্দেশ্য হলো দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে তাদের স্বনির্ভর হতে সহায়তা করা এবং তাদের খাদ্য, পশুখাদ্য, জ্বালানী, আসবাবপত্র ও মূলধনের চাহিদা পূরণ করা। নার্সারি সৃজন, প্রান্তিক ও পতিত ভূমিতে বৃক্ষরোপণ করে বনজ সম্পদ সৃষ্টি, মরুময়তারোধ, ক্ষয়িষ্ণু বনাঞ্চল রক্ষা ও উৎপাদন বৃদ্ধি, পরিবেশ উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, নারীর ক্ষমতায়ন ও নেতৃত্ব সৃষ্টি এবং সর্বোপরি কর্মসংস্থান ও দারিদ্র নিরসনে সামাজিক বনায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

সরকারের এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কুলাউড়া রেঞ্জের নলডরী বিটের আওতায় নুনছড়া মৌজায় ২০২০-২১ অর্থ বছরে ১০ হেক্টর জমিতে একটি এবং মুরইছড়া বিটের অধীনে রোশনাবাদ মৌজায় একই অর্থবছরে ২০ হেক্টর জমিতে আরেকটি সামজিক বনায়ন করার উদ্যোগ নেয় বন বিভাগ। সরকারের রিজার্ভ ফরেস্ট হলেও মুলত সেটি ছিলো লবনছড়া বাঁশমহাল। খাসিয়ারা সেখানকার বাঁশ কেটে সাবাড় করে পানগাছ লাগিয়ে জবরদখলের পরিকল্পনা করে। উজাড়কৃত বাঁশমহালে বনবিভাগ সামাজিক বনায়নের উদ্যোগ নিলে খাসিয়ারা বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। বনবিভাগ উপকারভোগীদের নিয়ে সেখানে নার্সারি (চারা উৎপাদন) করে। চলতি বছরের অর্থাৎ গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে হামলা চালায় সংঘবদ্ধ খাসিয়ারা।

নুনছড়া বনায়নে কর্মরত এলাইচ মিয়া ও রফিকুল ইসলাম রেনু জানান, ববরিন খাসিয়ার নেতৃত্বে খাসিয়ারা ভোররাতে ঘুমের মধ্যে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় আহত ইছাক মিয়া চোখ হারান, এলাইছ মিয়া দাঁত হারান, ফজলু মিয়া পা ভেঙ্গে পঙ্গুত্ব বরণ করেন। সেসময় খাসিয়ারা নার্সারীর প্রায় ৩ হাজার চারা উপড়ে ফেলে। শুধু হামলা নয় গত একবছরে ৪টি মামলায় অর্ধশত উপকারভোগীকে মামলার আসামী হতে হয়েছে। এখনও বনায়নকৃত এলাকা ছেড়ে দেয়ার জন্য হুমকি ধামকি অব্যাহত আছে।

এদিকে রোশনাবাদ মৌজায় ২০ হেক্টর জমিতে সামাজিক বনায়ন করার কাজ শুরু করলে প্রথমে নার্সারীতে হামলা চালায় খাসিয়ারা। এতে ২০ হাজার গাছের চারা বিনষ্ট করে। এখন পর্যন্ত খাসিয়ারা ৩ দফা হামলা চালিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সমঝোতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এ নিয়ে খাসিয়া ও বস্তিবাসী বাঙালীদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। শেষতক ৩০ আগস্ট কুলাউড়া থানা পুলিশের উদ্যোগে পরিস্থিতি শান্ত করতে এক সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে খাসিয়াদের পানবিক্রিতে এবং এলাকায় নিরাপদে চলাচলের বাঁধা না দেয়া এবং সামাজিক বনায়নে উপকারভোগীদের বাঁধা না দেয়ার জন্য উভয়পক্ষকে সতর্ক করা হয়।

বনবিভাগ সুত্রে জানা যায়, কুলাউড়া রেঞ্জের আওতায় বড় কালাইগিরি ও ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ১৫ হেক্টর এবং ছোট কালাইগিরিতে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৫ হেক্টর বনভূমিতে পৃথক দুটি সামাজিক বনায়ন সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়। কিন্তু রহস্যময় কারণে ২০২০ সালে এসে তারা সামজিক বনায়নের তীব্র বিরোধী হয়ে উঠে। ফলে খাসিয়াদের তীব্র বিরোধীতার ও অব্যাহত হামলা মামলার মোকাবেলা করে সামাজিক বনায়ন বাস্তবায়ন করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নলডরী বিট কর্মকর্তা আইয়ুব আলী জানান, সামাজিক বনায়ন বাস্তবায়নে উপকারভোগী ছাড়া সম্ভব না। উপকারভোগীর তালিকায় খাসিয়া লোকজনকেও সম্পৃক্ত করা হয়েছিলো। ওরা আসেনি। কোনভাবেই ওরা সামাজিক বনায়ন বাস্তবায়ন করতে দেবে না। তারা সরকারের সংরক্ষিত বনাঞ্চল জবরদখল করে পান চাষ করবেই।

উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমএ রহমান আতিক জানান, সামাজিক বনায়ন বাস্তবায়নে বনবিভাগকে সহায়তা করেছি। এই ধারা অব্যাহত থাকবে। সরকারের স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে আমাকে এসব কাজ বাস্তবায়নে সগযোগিতা করা আমার দায়িত্ব।

কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষণ রায় জানান, এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষায় উভয়পক্ষকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আপাতত কেউ কারো কাজে বাঁধা প্রদান করবে না। সামাজিক বনায়নের রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিয়োজিতরা কাজ করতে পারবে। তবে যে জায়গা নিয়ে হামলা হয়েছে, সেখানটায় আপাতত কেউ যাবে না। প্রশাসন সরেজমিনে গিয়ে সেটা সুরাহা করে দেবে।

এই পাহাড়ের রোশনাবাদ মৌজার এখানে বাবলী তালাং,সিলবিসটার পাটাং, টু মন্ত্রী, লবীং খাসিয়া, বুডক খাসিয়া রোসবেল খাসিয়াসহ তাদের নেতৃত্বে সরকারি ভুমিতে অন্যান্য অঞ্চলের খাসিয়া সম্প্রদায়দের কাছে সরকারি জায়গা বিক্রি করছে এই ৭ সাত মন্ত্রী। সরকারের জায়গাকে তাদের দখলে করে, অন্যান্য অঞ্চলের খাসিয়া সম্প্রদায়দের কাছে ১৫ লক্ষ টাকা করে তারা দাবী করে এই সরকারি জায়গা তাদের।

আরোও জানা যায় যে খাসিয়া সম্প্রদায়দের কাছে বিভিন্ন অবৈধ অস্ত্র সস্ত্র আছে খাসিয়া সম্প্রদায়রা এই অবৈধ অস্ত্র সস্ত্র এর ব্যাবসা করে। তাদের উপরে অস্ত্ররের মামলায় একবার বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের গ্রেফতারও করে।বর্তমানে সরকারি জায়গা দখল করে জায়গা বিক্রির ব্যাবসা করছে খাসিয়া সম্প্রদায়রা,

খাসিয়া সম্প্রদায়দের কারনে পরেস্টর অফিসারও ডিউটি করতে পারছে না। তাদের হুমকি দিয়ে রেখেছে

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি