জাকির হোসেন সুমন সিলেট ব্যুরোঃ
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের দাবি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কেশবপুর বাজারের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমকে একটি চক্র অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার।
পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অস্ত্র আইনের মামলাটি নিরপক্ষে সংস্থা দিয়ে তদন্তের দাবি করে নেপথ্য নায়কদের খোঁজে বের করার দাবি জানান তারা। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাহাঙ্গীর আলমের ছোটভাই মো. আলমগীর। এ সময় তার পিতা মো. মসর উদ্দিন, মা নেহারুন নেছা, জাহাঙ্গীরের স্ত্রী লাভলী বেগম, মেয়ে সনি আক্তার ও ছেলে মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যে বলা হয়, জাহাঙ্গীর কেশবপুর বাজারের একজন সফল ব্যবসায়ী ও যুবলীগ কর্মী। বাজারে শাহজালাল পান ভান্ডার নামের দোকানটি তিনি পরিচালনা করছেন। গত বাজার পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দি¦তা করেন জাহাঙ্গীর। তার বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা কিংবা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগও নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, গত ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় র্যাব-৯ এর একটি দল জাহাঙ্গীরকে আটক করে। ওই সময় তার দোকান থেকে একটি বিদেশি রিভলবার উদ্ধার করা হয় বলে র্যাব জানায়। পরে র্যাব তাকে জগন্নাথপুর থানায় হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় পরদিন র্যাবের পক্ষ থেকে অস্ত্র আইনে জগন্নাথপুর থানায় একটি মামলা (নং-৬ (৮)২১ দায়ের করা হয়।
গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী বশর মিয়া ও তার ভাই মজিদ মিয়া জাহাঙ্গীরকে ফাঁসানোর পেছনে জড়িত উল্লেখ করে আলমগীর বলেন, ঘটনার দিন বিকালে সাদা পোষাকে কিছু লোক কেশবপুর বাজারে অবস্থান নেয়।
আমাদের দোকানেও বসেন। এক পর্যায়ে পরিচয় গোপন করে আমাকে দিয়ে ভাইকে ফোন করে বাজারে নিয়ে আসার পর তাকে আটক করা হয়। এজাহারে তার হেফাজত থেকে অস্ত্র উদ্ধারের কথা উল্লেখ করা হলেও প্রকৃত পক্ষে সে অস্ত্রটি দোকানের সামনের গলির একটি খাটের নীচ থেকে উদ্ধার করা হয়। যা বাজারের লোকজন প্রত্যক্ষ করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, যুক্তরাজ্য প্রবাসী বশর মিয়া ও তার ভাই মজিদ মিয়ার সাথে জগন্নাথপুর পৌরসভার গত নির্বাচন থেকে বিরোধ রয়েছে। নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে এই ওই দুই ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। বশর ও মজিদ এই দুই ভাইয়ের নেতৃতত্বে এলাকায় একটি অপরাধ চক্র গড়ে উঠেছে। তারা থানায় দালালি করেন।
তাদের বিরুদ্ধে কেশবপুর হবিবিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার টাকা আত্মসাৎ, নারী কেলেঙ্কারি,গাড়ি পোড়ানোসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তারাই থানাপুলিশের সহায়তায় অস্ত্র দিয়ে জাহাঙ্গীরকে ফাঁসিয়েছে। কিছু পুলিশ তাদের সহায়তা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে আলমগীর মামলাটি নিরপেক্ষ সংস্থা দিয়ে মামলাটি তদন্ত করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে দাবি করে স্থানীয় এমপি ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানসহ পুলিশের উর্ধবতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তিনি পরিবারের জানমালের নিরাপত্তাও দাবি করেন পরিবারটি।
Leave a Reply