1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
জৈন্তাপুর থেকে ৮০ লক্ষ টাকার সুপারী উদ্ধার। - dainikbijoyerbani.com
রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০২ অপরাহ্ন
ad

জৈন্তাপুর থেকে ৮০ লক্ষ টাকার সুপারী উদ্ধার।

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০২১
  • ২৫২ Time View

এমএ রহিম স্টাফ রিপোর্টার সিলেটঃ

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় ঘটলো এক নেক্কারজনক ঘটনা এ বিষয় নিয়ে গত পাঁচ দিন থেকে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি জনসমাগনে- পেইজবুক ও সোশাল মিডিয়ায়। গত ৯ জুলাই বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে সুপারী বোঝাই ট্রাক রওয়ানা হয়, সিলেটের কালীঘাটের উদ্দেশ্যে।

পথিমধ্যে ঘটে ছিনতাই এর ঘটনা। ট্রাক ড্রাইভার মানিক মিয়া ফন্দি আঁটে সুপারী গায়েব করার। যোগাযোগ করা হয় সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন চোরাকারবারিদের সাথে।

কথাবার্তা হয় গাড়ীতে থাকা ২০০ বস্তা সুপারি যার বাজারমূল্য প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা। গাড়ী আসে জৈন্তাপুরে, রাতের আধারে তারপর ৮০ লক্ষ টাকার সুপারীর দাম ধরা হয় ২৫ লক্ষ টাকা। এত টাকা একজন ব্যাবসায়ীর কাছে না থাকায় যুক্ত করা হয় উপজেলার অনেক বড় বড় চোরাকারবারিদের,বিভিন্ন তথ্য সুত্রে জানা যায় দরবস্ত মানিকপাড়ার জামায়াত নেতা চোরাকারবারি নুরুজ্জামান,সারীঘাট ডৌডিক গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা, আবুল হোসেন, ফেরীঘাটের যুবদল নেতা দুলাল।

জৈন্তাপুরের সিদ্দীক সহ অসংখ্য চোরাকারবারি এড হয় মিশনে। তারপর ড্রাইভার মানিক কে ২৫ লক্ষ টাকা প্রদান করে সুপারী জৈন্তাপুর দরবস্ত মানিকপাড়া ও উপজেলা সদরে আনলোড করা হয়।

সুপারী ছিনতাই এর খবর পেয়ে চট্টগ্রামের ট্যান্সপোট মালিক ও মালের মালিক চট্টগ্রাম এর কোতয়ালী থানার সহযোগিতা নেন, তারপর এক সপ্তাহের মধ্যে চট্রগ্রাম কোতোয়ালি থানা ও জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা সদরের দৈনিক লামাবাজার ,মাস্তিংহাটি, দরবস্ত, ফেরীঘাট ববরবন ও পার্শ্ববর্তী কানাইঘাট উপজেলা সহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে গত ৪দিনে অন্তত ১৮৩ বস্তা সুপারী উদ্ধার করা হয়েছে। সুপারী‘র বাজার মূল্য আনুমানিক ৭০ লাখ টাকা। এই ঘটনায় সাথে জড়িত সন্দেহ জনক ভাবে পুলিশ ৪জন কে আটক করেছে। তবে ঘটনার সাথে জড়িত গাড়ির চালক সহ মুল আসামীরা পলাতক রয়েছেন।

জৈন্তাপুর মডেল থানার (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমদ, পরিদর্শক তদন্ত ওমর ফারুক, সাব-ইন্সপেক্টর সিরাজুল ইসলাম,এসআই কাজী শাহেদ আহমদ ও চট্রগ্রাম কোতোয়ালি থানার সাব-ইন্সপেক্টর মেহেদী হাসান সহ উভয় থানার পুলিশ ফোর্স অংশ নেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, চট্রগ্রামের এক ব্যবসায়ীর ২শত বস্তা সুপারী একটি ট্রান্সপোর্ট এজেন্সীর মধ্যে সিলেট কালিঘাট প্রেরণ করেন।

ট্রাকের চালক জৈন্তাপুর উপজেলার আসামপাড়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মানিক আহমদ সহ তার পূর্ব পরিচিত স্থানীয় কয়েকজন চোরাকারবারীদের সাথে যোগাযোগ করে সুপারী ছিনতাই করার পরিকল্পনা করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, পরিকল্পনা মতে জৈন্তাপুর উপজেলা সদরের কয়েকজন ব্যবসায়ী ছিনতাই হওয়া সুপারী নামে মাত্র টাকায় ক্রয় করেন।

এই পরিকল্পনার সাথে জড়িত স্থানীয় চোরাকারবারীরা ছিনতাই হওয়ার সুপারী পুনরায় আরো কয়েকজন ব্যবসায়ীর নিকট বিক্রয় করে।

পুলিশ গোপন সংবাদ পেয়ে উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী সিদ্দিক আহমদ, ফেরীঘাটের দুলাল আহমদ ও দরবস্ত কুড়গ্রামের শাহীন আহমদ সহ আরো কয়েকজনের ত্বাত্তবধায়নে থাকা ছিনতাই হওয়া এইসব সুপারী উদ্বার করতে সক্ষম হয়।

এই ছিনতাই হওয়ার ঘটনার সাথে স্থানীয় আরো কয়েকজন চিহিৃত চোরাকারবারীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে একাধিক সূত্র তা নিশ্চিত করেছে। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের অনেকের নাম চলে আসছে।

সুপারী মালিক চট্রগ্রামের কোতোয়ালি থানায় সুপারী ছিনতাই হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ৪দিনে চট্রগ্রাম কোতোয়ালি থানার পুলিশ ও জৈন্তাপুর মডেল থানার পুলিশ যৌথ এই সফল উদ্বার অভিযানে অংশ নেন।

তবে সচেতন মহলের মধ্যে পুলিশের এই যৌথ সফল অভিযান নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নও দেখা দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন এই ঘটনার সাথে জড়িত মুল আসামীরা এখনও বাহিরে রয়েছেন।

পুলিশ তাদের-কে গ্রেফতার করতে পারে নাই। যাদের বসতবাড়ি থেকে ছিনতাই হওয়া সুপারী উদ্বার করা হয়েছে এ রকম ২/৩জন লোক কে আটক করা হয়।

এদিকে গত ৪দিনের যৌথ অভিযান সংক্রান্ত বিষয়ে পুলিশ এখন পর্যন্ত স্থানীয় মিডিয়া কর্মীদের বিস্তারিত তথ্য পরিবেশন করতে কিছুটা এড়িয়ে গেছেন। এই অবস্থায় শুক্রবার ভোর রাতে উদ্বার হওয়া সুপারী সহ আটককৃতদের চট্রগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

অভিযানে অংশ নেওয়া চট্রগ্রাম কোতোয়ালি থানার সাব-ইন্সপেক্টর মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, কৌশলগত কারনে স্থানীয় মিডিয়া কর্মীদের তথ্য প্রেরণে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে আমাদের উদ্বার অভিযান এখনও চলমান রয়েছে।

গাড়ি উদ্বারের চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, সিলেটের জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় গত ৪দিন অভিযান পরিচালনা করে এ পর্যন্ত ১৮৩ বস্তা সুপারী উদ্বার ও এই ঘটনায় সাথে জড়িত সন্দেহজনক ভাবে ৪জন এবং ১জন কে আটক করা হয়েছে।

তিনি বলেন,আমাদের সিনিয়র স্যারদের সাথে কথা বলে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী সময়ে মিডিয়া-কে জানানো হবে।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি