ফিলিস্তিনের উপর ইসরায়েলী রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের নিন্দায় আহলে সুন্নত ইউএসএ
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধি: আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত ইউএসএর উদ্যোগে ২৫ মে ২০২১, মঙ্গলবার নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস্থ ডাইভারসিটি প্লাজা চত্ত্বরে সম্প্রতি ফিলিস্তিনের উপর ইসরায়েলী আগ্রাসন ও হত্যার প্রতিবাদে প্রতিবাদ র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। বাদ আসর কোরআন তেলওয়াত ও না’ত শরীফ পাঠের মাধ্যমে প্রতিবাদ রর্যালী শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ইউএসএর সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহীম মাহমুদ ও বক্তব্যা রাখেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ইউএসএর কার্যকরী সভাপতি সৈয়দ হেলাল মাহমুদ, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ইউএসএর মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ওয়াসিম সিদ্দিকী, সহ-সভাপতি মাওলানা আনোয়ারুল হক কাদেরী, সহ-সভাপতি মুহাম্মদ নাদের, সহ সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ওমর ফারুক প্রমূখ।খবর বাপসনিউজ।
আরো বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটির বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ ও অত্র সংগঠনের শুভাকাংখী কাজী নয়ন, গিয়াস আহমেদ, বদরুন নাহার মিতা, মীর মশিউর রহমান, ফারুখ হোসাইন, মুহাম্মদ আলী বাবুল, শামসুল আলম মিয়া, নিজাম উদ্দিন, সৈয়দ আহসান মিল্লাত, মুহাম্মদ সোহেল রেজা, বাবুল ভূঁইয়া প্রমুখ।
বক্তাগণ বলেন, সম্প্রতি ইসরায়েলের রাষ্ট্রযন্ত্র কোন উস্কানী ছাড়াই পবিত্র আল আকসার পবিত্র মসজিদে নিরিহ নামাজরত মুসল্লীদের উপর আক্রমণ করে। এতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। উল্লেখ্য যে, ইসরায়েল নিজের নিরাপত্তার অজুহাতে হত্যা উচ্ছেদ ও দখলকে বৈধ মনে করে। অথচ আন্তার্জাতিক সকল আইনে হত্যা উচ্ছেদ ও পরভূমি দখল অবৈধ ও যুদ্ধ অপরাধ। বক্তাগণ বলেন, ইসরায়েল কখনই ফিলিস্তিনদেরকে মেনে নেয়নি। তারা ১৯৪৭ সালের জাতিসংঘের নির্ধারিত সীমানার বাইরে ফিলিস্তিনী ভূখন্ড দখল করে নেয় ১৯৪৮ সালের তথাকথিত ইসরায়েলী স্বাধীনতা যুদ্ধে। ১৯৪৯ সালে আরবদের সাথে যুদ্ধ বিরতি করে গ্রীনলাইন প্রতিষ্ঠিত করে। পরে ইসরায়েল এককভাবে ১৯৬৭ সালে আগ্রাসী যুদ্ধে স্বীয় যুদ্ধ বিরতি লাইন অতিক্রম করে পুরো ফিলিস্তিন দখল করে নেয়। উত্তর দক্ষিণ ও পূর্বের সকল ফিলিস্তিন ভূখন্ড দখল করে একক দখলদার রাষ্ট্র হিসেবে হত্যা, উচ্ছেদ ও দখল অব্যাহত রাখে। ইসরাইল জাতিসংঘসহ সকল আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষা করে এই অবৈধ দখল বজায় রাখতে চায়।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ইউএসএ এই প্রতিবাদ র্যালী থেকে সকল প্রকার হত্যা, উচ্ছেদ ও দখলের নিন্দা জানিয়ে ইসরায়েলকে শান্তিপূর্ণ দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পথে ফিরে আসার আহ্বান জানান। বক্তাগণ ইসরাইলকে ৪৭ এর জাতিসংঘ নির্ধারিত সীমানা অথবা ৪৯ সালের যুদ্ধবিরতি তথা গ্রীনলাইন সীমনায় পূর্ব জেরুযালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র মেনে নেয়ার আহ্বান জানান। বক্তাগণ মুসলিম ঐক্য বিনষ্টকারী ইহুদী দাস সৌদী রাজতন্ত্র, মিসর ও আমিরাত সরকারেরও নিন্দা জানান। বক্তাগণ বলেন, আল কুদস মুক্ত হওয়া ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ছাড়া আগ্রাসী ইসরায়েলকে মেনে নেয়া ইসলাম ও মুসলিমদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। সভায় দু’পক্ষের সকল প্রকার হত্যা ও সন্ত্রাসের নিন্দা জানানো হয়। সালাতুসালাম পাঠান্তে ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশেষ মুনাজাতের মাধ্যমে প্রতিবাদ র্যালী সমাপ্ত হয়।
Leave a Reply