শহিদুল ইসলাম মনপুরা প্রতিনিধি।
মনপুরায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ১৪০ টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার মনপুরা অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
জমি ও গৃহ হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি শেলিনা আকতার চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম মিঞা, উপজেলা আ’লীগ সাধারন সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন, অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ সাঈদ আহম্মেদ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াছ মিয়া, দক্ষিন সাকুচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ অলিউল্যাহ কাজল, হাজির হাট ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নিজামউদ্দিন হাওলাদারসহ সরকারী দাপ্তরিক প্রধানগন, সাংবাদিক ,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘরের দলিল ও জমি পেয়ে খুব খুশি ভ্যানগাড়ী চালক আব্দুর রহমান। আগে অন্যের বাড়ীতে থাকতেন। এখন প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘরে থাকবেন। ঘরের চাবি হাতে পেয়ে খুব খুশি গৃহহীন পরিবার।
স্মামী পরিত্যাক্তা শিল্পী বেগম ঘর ও জমির দলিল বুঝিয়ে পেয়ে খুব খুশি। ঘর পেয়ে চোখে মুখে খুশির ঝিলিক দেখা যায়। জানতে চাইলে দুহাত উঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করেন। বলেন, টাকা পয়সার অভাবে এতদিন ঘর করতে পারিনি। বর্ষা ও শীতে অনেক কষ্ট করেছি। এখন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরে থাকবো আর আমাদের কোন কষ্ট হবেনা।
উপজেলার হাজির হাট ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হালিমা বেগম ঘর ও জমির দলিল পেয়ে আননন্দিত। হাঁস,মুরগী পালন করে কোন মতে অভাবের সংসাার চালাতেন । ঘর পেয়ে খুব খুশি তিনি। এখন ৩ ছেলেকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরে থাকব। আর আমাদের কষ্ট হবেনা ।
প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়ে খুব খুশি ৬০ বছর বয়সী মিনারা বেগম,সুরমা বেগম। তারা সরকার আমাদের একটা ঘর দিয়েছে। আমরা নামাজ পড়ে দোয়া করি। এখন আমাদের কোন চিন্তা নাই। শেখ হাসিনা আমাগোরে মাথা গোজার ঠাই করে দিয়েছেন। আল্লাহ শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রাখুক।
আশ্রয়ন প্রকল্পে নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়ে খুব খুশি রিকসা চালক মোঃ নুর আলম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় মানুষের জন্য বিনা মূল্যে ঘর করে দিয়েছেন। আজ আমরা বউ বাচ্চা নিয়ে নিরাপদে থাকব। আমাদের কোন কষ্ট হবেনা। আমরা খুব খুশি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম মিঞা বলেন, তৃতীয় ধাপের আশ্রয়ন প্রকল্পের ১৪০ টি প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর নির্মানের কাজ শেষ করেছি। আজ প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ভোধনের পর উপকারভোগীদের মধ্যে জমির দলিলসহ ঘর হস্তান্তর করছি। প্রতি পরিবারের জন্য ২ শতাংশ খাস জমির কবুলত রেজিঃ করে ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। উপকারভোগীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘরগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন বরাদ্ধপ্রাপ্ত উপকারভোগীরা ঘরে বসবাস করছেন। ঘর পেয়ে খুব হাসি-খুশি উপকারভোগীরা।
Leave a Reply