1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
মাদারীপুরে পদ্মা সেতুর ক্ষতিপূরণের দেড় কোটি টাকা অভিনব কায়দায় হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ। - dainikbijoyerbani.com
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন
ad

মাদারীপুরে পদ্মা সেতুর ক্ষতিপূরণের দেড় কোটি টাকা অভিনব কায়দায় হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ।

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০
  • ৬৬৫ Time View

মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃপদ্মা সেতুর ক্ষতিপূরণের প্রায় দেড় কোটি টাকা অভিনব কায়দায় মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এল এ শাখার এক দালাল হাতিয়ে নিয়েছে অভিযোগে করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ নূর মোহাম্মদ ফকির। বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদারীপুর শহরের এক আইনজীবীর চেম্বারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নূর মোহাম্মদ ফকির এক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন,পদ্মা সেতু বহুমুখী প্রকল্পের জন্য সরকার তার পৈত্রিক সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে। এই অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তির এল.এ কেস নং ০৬/২০১৭-২০১৮। সরকারী সমীক্ষা শেষে ওই সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১ কোটি ৪৮ লাখ ১২ হাজার ৪৩৮ টাকা। বিগত ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সম পরিমান টাকার বিপরিতে একটি চেক এল.এ শাখার সার্ভেয়ার মো: মোস্তাফিজুর রহমান সম্পত্তির মালিক নূর মোহাম্মদ ফকিরের হাতে না দিয়ে প্রতারক চক্রের মূল হোতা রুবেল হাওলাদারের হাতে দেয়। প্রতারক রুবেল ব্যাংকে যাওয়ার কথা বলে নূর মোহাম্মদ ফকিরকে শহরের মাতৃভূমি রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে তার কাছে খরচ বাবদ ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। এ সময় আরো কয়েকজন দালাল সেখানে উপস্থিত হয়। নূর মোহাম্মদ ফকিরের কাছে নগদ টাকা না থাকায় রুবেল ও তার সঙ্গীরা ভয়ভীতি দেখিয়ে নূর মোহাম্মদের কাছ থেকে দুটি ব্ল্যাঙ্ক চেক নং ৪৫০৯৬২৬ ও ৪৫০৯৬২৭ স্বাক্ষর রেখে হত্যার হুমকি দিয়ে তাকে তাড়িয়ে দেয়। পরে নূর মোহাম্মদের নামে ইস্যুকৃত চেক ন্যাশনাল ব্যাংক লি:, মাদারীপুর শাখায় ১১ সেপ্টেম্বর নূর মোহাম্মদ ফকিরের হিসাব ১১৮৫০০৩৩৭১৮২৮ নম্বরে জমা দিয়ে রুবেল হাওলাদার ওই দিনই তার হিসাব নম্বরে ট্রান্সফার করে নেয়। বিষয়টি ব্যাংক স্টেটমেন্টে উল্লেখ করা রয়েছে। এ ঘটনার পর টাকার মালিক নূর মোহাম্মদ ফকির ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসা নেন। পরবর্তীতে নূর মোহাম্মদ ফকির একটু সুস্থ্য হয়ে চলতি বছর ৬ সেপ্টেম্বর ও ২০ সেপ্টেম্বর টাকা উদ্ধারের জন্য মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কাছে দু‘টি আবেদন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নূর মোহাম্মদ ফকির অভিযোগ করে আরো বলেন, “এল.এ শাখার সার্ভেয়ার মো: মোস্তাফিজুর রহমান প্রতারক রুবেল হাওলাদার গং যোগসাজসে আমার টাকা আত্মসাৎ করেছে। তা ছাড়া ব্যাংক ম্যানেজার এই বিপুল অংকের টাকা আমাকে না জানিয়ে কোন নিয়ম-নীতির ভিত্তিতে অন্যের একাউন্টে ট্রান্সফার করলেন?”
এদিকে এল এ শাখার সার্ভেয়ার মোস্তাফিজুর রহমানকে এ ঘটনার জের ধরে এল এ শাখা থেকে রাজৈর উপজেলায় বদলী করা হয়েছে । তবে প্রশাসনিককারনে তাকে বদলী করা হয়েছে বলে প্রশাসনের একটি সুত্র জানায় ।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ন্যাশনাল ব্যাংক লি:, মাদারীপুর শাখার ম্যানেজার আবুল খায়ের সাংবাদিকদের বলেন, কোনো বড় অংকের টাকা প্রদান করতে হলে চেকদাতার সাথে যোগাযোগ করা কর্তব্য। কিন্তু আমি যোগাযোগ না করে চেক বাহককে টাকা দিয়ে দেই। অনেক দিন আগের ঘটনা মনে নেই।”
এ ব্যাপারে মাদারীপুর-এর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, “আমি এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি