রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরে নারী ইউপি চেয়ারম্যান বিউটি সিকদারের বিরুদ্ধেই নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। বিউটি উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। বিউটি সিকদারের ছোট ভাই আহাদ হোসেন মিরাজের (২৮) তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী সাদিয়া আক্তার (১৭) মঙ্গলবার স্থানীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।
সাদিয়া আক্তার বাগেরহাটের মোল্লারহাট উপজেলার গাওলা গ্রামের মৃত সারফরাজ সিকাদারের মেয়ে ও অভিযুক্ত মিরাজ রাজাপুরের শুক্তাগড় ইউনিয়নের মৃত শহিদুল্লাহ্ ফরায়েজীর ছেলে ও চেয়ারম্যান বিউটি সিকদারের একমাত্র ছোট ভাই।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাদিয়া আক্তার জানায়, এক বছর বয়সে সে বাবাকে হারায়। মায়ের সাথে বন্ধন ছিন্ন হয়। এরপর থেকে তার ফুপুর আশ্রয়ে বড়হ য়। ২০১৯ সালে পড়াশুনা করা অবস্থায় খুলনায় মিরাজের সাথে সাদিয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে সাদিয়া অপ্রাপ্তবয়স্ক থাকায় খুলনায় বিজ্ঞ নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে এ্যাফিডেবিট করে তারা বিবাহে আবদ্ধ হয়। সেই থেকে মিরাজের পরিবার পরিজনদের সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং তাদের সাথে এক সাথে থাকতে শুরু করে সাদিয়া। পরে সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভের মোহে সাদিয়াকে বিকিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় স্বামীসহ ননদরা। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শারীরিক নির্যানতের শিকার হয়ে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিও হতে হয়। শুধু তাই নয়, জোর পূর্বক গর্ভের সন্তানও নষ্ট করা হয় বলে লিখিত বক্তব্যে উল্ল্যেখ করেন সাদিয়া।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, এসব অনৈতিক আবদারসহ সকল পরিকল্পনাকারী ও নিয়ন্ত্রণকারী তার স্বামী মিরাজে বড় বোন বিউটি সিকদারের নির্দেশে গত ১২ অক্টোবর সাদিয়াকে তার শ্বশুর বাড়ি থেকেফুপুর বাড়িতে রেখে আসে। পরে স্বামী মিরাজ ও ননদ সাথী মিরাজকে ছেড়ে যাওয়ার জন্য হত্যাসহ নানা হুমকি দেয় এবং ১৭ই নভেম্বর বাগেরহাটের মোল্লারহাট গাওলা সাদিয়ার গ্রামের বাড়িতে মিরাজ তালাক নামা পাঠিয়ে দেয়। মিরাজ পুনরায় বিবাহ করেছে। সাদিয়া বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে এমতাবস্থায় তিনি সুবিচার পেতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সহায়তা কামনা করছেন। তার ওপরে হওয়া সকল নির্যাতনের বিচার চান সাদিয়া। তিনি এ ঘটনায় মামলা করবেন বলেও জানান। এ সময় সাদিয়ার সাথে তার ফুপু ও চাচা উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে সাদিয়ার সাবেক স্বামী আহাদ হোসেন মিরাজ বলেন, ‘সাদিয়ার সাথে অন্য একজনের সম্পর্ক রয়েছে। বিষটি জানার পরে আমি তাকে তালাক দিয়েছি। তাকে কোন নির্যাতন করা হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বিউটি সিকদার বলেন, ‘আমি ভাইয়ে বউ হিসেবে সাদিয়াকে সব সময় ভালবেসেছি। ওদের দাম্পত্ত কলহের মধ্যেও সাদিয়াকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছি। আমার ধারণা, আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সমাজে আমার সম্মানহানী করতে সাদিয়াকে দিয়ে এই অপপ্রচার করছে।’
Leave a Reply