1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
শ্রীপুরে ১৮ মাসের শিশু রেখে প্রিলি মাস্টার্স পরীক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু - dainikbijoyerbani.com
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৬ অপরাহ্ন
ad

শ্রীপুরে ১৮ মাসের শিশু রেখে প্রিলি মাস্টার্স পরীক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৪ অক্টোবর, ২০২১
  • ২২৪ Time View

আতিকুর রহমান গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :

গাজীপুরের শ্রীপুরর উপজেলা গাজীপুর ইউনিয়নের আজুগীরচালা গ্ৰামে ১৮ মাসের দুধের শিশু রেখে এক গৃহিনী মায়ের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এতে এলাকার জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গৃহিনীর স্বামী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক শহিদুল ইসলামের দাবী তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে নিহতের পিতা ইসমাইল হোসেনের দাবী হত্যা।

গতকাল ০৩-১০-২১ ইং রবিবার দিন গভীর রাতে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের আজুগীরচালা গ্রামে শিমুল আক্তার (২৫) নামের ওই গৃহিনীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। শিমুল আক্তার ভালুকা উপজেলার কাশর গ্রামের মো. ইসমাঈলের কন্যা।

জানা যায়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে আজুগীরচালা গ্রামের মৃত জাবেদ আলীর ছেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো : শহিদুল ইসলামের সাথে আনুষ্ঠিকভাবে বিয়ে হয় শিমুলের। শহিদুল ইসলাম পার্শবর্তী মাওনা ইউনিয়নের বড়বাইদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। শহিদুল ও শিমুল দম্পত্তির সাফিয়া নামের ১৮ মাসের কন্যা সন্তান রয়েছে।

শিমুলের বাবা ইসমাঈল হোসেন জানান, আমার মেয়ে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ থেকে প্রিলি মাস্টার্স পরীক্ষা দিচ্ছে। হাসিখুশি শিক্ষিত একটি মেয়ে কেনো আত্মহত্যা করবে? চাঁদের মতো ফুটফুটে একটি মেয়ে আছে তার। নিশ্চয়ই শহিদুল আমার মেয়েকে মেরে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। কাজেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মেয়ের মৃত দেহ ময়না তদন্তের আবেদন করেছি।

শহিদুল ইসলাম বলেন, দু’দিন যাবত স্ত্রী শিমুল আক্তারের সাথে পারিবারিক নানান বিষয় নিয়ে একটু কথা-কাটাকাটি চলছে। গত রবিবার সকাল স্কুলে যাওয়ার সময় স্ত্রী শিমুল আক্তার বায়না ধরে তাকে মাওনা চৌরাস্তা শামীম চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যেতে । শামীম চক্ষু হাসপাতালে শিমুল আক্তারের পিতার চোখের অপারেশন হয়েছে ।সময় স্বল্পতার কারণে স্ত্রী শিমুল আক্তারকে বাড়িতে রেখেই চলে যান তিনি। এরপর একে একে তাঁর স্ত্রী ১৩টি কল দেয়। কিন্তু মোবাইল সাইলেন্ট থাকায় রিসিভ করতে পারেননি। স্কুলে যেয়ে ফোন রিসিভ করা মাত্র তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এরপর বৃষ্টির কারণে স্কুল থেকে ফিরতে দেরি হলে নানান প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় তাকে। এর জেরে রাতেও ঝগড়া হয় তাদের মধ্যে। এসব কারণেই সে আত্যহত্যা করতে পারে বলে জানান তিনি।

শহিদুল ইসলাম আরও জানান, মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ তিনি নিজেই নামিয়েছেন। পরবর্তীতে মোটরসাইকেল চালিয়ে স্থানীয় নায়েব আলী মার্কেটে গিয়ে স্ত্রীর স্বজনদের খবর দেন।

শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূইয়া গণমাধ্যম কে বলেন, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহিদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি