মোঃ লিমন গাজী
বরগুনা জেলা প্রতিনিধি।
বরগুনার তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাওসার হোসেনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার ঘটনা ডাহা মিথ্যা বলে জানা গেছে। কিছু অসাধু ব্যক্তি ও কুচক্রী মহল নিজেদের স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে সাংবাদিকদেরকে ভুল তথ্য দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ৪৪নং বড়বগী মৌজার এসএ ১নং খতিয়ানের ৪০০০নং দাগে সরকারের ৭.৮৭ শতাংশ জমি রয়েছে । সেখান থেকে আব্দুল লতিফকে ৩ একর এবং আদম আলীকে ১.৫০ শতাংশ জমি স্থায়ী বন্দোবস্ত দেয় সরকার। এছাড়াও আব্দুল লতিফের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান ৩ একর সম্পত্তি বন্দোবস্ত পায়।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু করতে গেলে জমির বন্দোবস্তীয় মালিক দাবি করে ঘর তোলায় বাঁধা সৃষ্টি করেন তারা। বাঁধাকে উপেক্ষা করে ঘরের নির্মাণাধীন কাজ শুরু করলে বদরুল আলম বাবুল আইনের আশ্রয় চেয়ে গত ২৫ জানুয়ারী আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইউএনওসহ ভূমি অফিসের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাওসার হোসেনসহ ৫ সরকারি কর্মকর্তাকে জমি-জমা সংক্রান্ত মামলার লিখিত জবাব চায় আদালত। নোটিশের জবাব পৌছাতে বিলম্ব হওয়ায় তাদেরকে ফের কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়। এবং গত ৪ মার্চ বদরুল আলম বাবুল বাদী হয়ে আমতলী সহকারী জজ আদালতে, আদালত অবমাননার ১টি মামলা দায়ের করেন এবং বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ করেন তালতলীর ইউএনও কে।
মামলার বাদী বদরুল অালম বাবুলকে কোনো ক্রমে না পাওয়ায় তার বক্তাব্য নেয়া যায়নি। তবে অন্য এক সাংবাদিককে তিনি জানান, তাদের বন্দোবস্তীয় জমিতে কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই ইউএনও দখল নিয়ে আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ শুরু করে। তাই তিনি আইনের আশ্রায় চেয়ে আদালতে মামলা করেন এবং আদালত তার জমিতে অস্থায়ী নিষেধাঞ্জা দিলেও তিনি তা মানেননি। এজন্য তিনি তাদের বিরুদ্ধে গত ৪ মার্চ বরগুনা সহকারী জজ আদালতে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন।
এবিষয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাওসার হোসেন এই প্রতিবেদককে জানায়, ৪৪নং বড়বগী মৌজার ১নং খতিয়ানের ৪০০০নং দাগে আমাদের মোট ৭.৮৭ শতাংশ জমি রয়েছে। তা থেকে সরকার ৪.৫০ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত দেয় এবং ৩.৩৭ শতাংশ জমি সরকারের আছে। সেখানেই আশ্রায়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। এই মামলার বাদীর জমি ৪০০১নং দাগে। অতএব ৪০০০নং দাগে তার বাঁধা দেওয়ার মতো কোনো অধিকার নেই।সে কৌসল অবলম্ভন করে তার ৪০০১নং দাগ পরিবর্তন করে ৪০০০ তে পরিনত করার জন্য মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্ন টালবাহানা করছে। এছাড়াও আমি সব নোটিশের লিখিত জবাব দিতে সক্ষম।
Leave a Reply