স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের মুসলিমনগর গ্রামে কবরস্থানের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৬` আহতরা হলেন তামাবিল স্থলবন্দরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো: আকবরুজ্জামান পলাশ,আমিরুজ্জামান মামুন, মো: আলম মিয়া, মো: কাসেম মিয়া, মো: রমজান মিয়া, মো: ছমির মিয়াসহ ছয়জন গুরুতর আহত হয়ে সিলেট একটি মেডিক্যালে ভর্তি হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুপুরে উপজেলার জাফলং ইউনিয়নের মুসলিম নগর গ্রামে।
এ ব্যাপারে শনিবার ভুক্তভোগী পরিবার গোয়াইনঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানার ওসি কে এম নজরুল ইসলাম বলেন,উভয় পক্ষের মারধরের ঘটনার পৃথক পৃথক দুটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,দীর্ঘদিন ধরে কবরস্থানের জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে আকবরুজ্জামান পলাশের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী মো: ইমান আলী,রশিদ মিয়া, খলিল মিয়া,রুকু মিয়া,মো: মজিবর,মো: দেলোয়ার মিয়া
,মো: রাব্বি মিয়া,বিরোধ করে আসছিল।
গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার মো: ইমান আলী, রশিদ মিয়া, খলিল মিয়া, রুকু মিয়া,মো: মজিবর,মো: দেলোয়ার মিয়া, রাব্বি মিয়া,গংয়ে আকবরুজ্জামান পলাশদের পারিবারিক ও গ্রামের কবরস্থানের জমিতে জোরপূর্বক দেওয়াল তুলে যাচ্ছিল পলাশ ও তার ছোট ভাই বাধা দিলে অকাঙ্ক্ষিতভাবে তাদের উপরে সন্ত্রাসী ইমান আলী গংয়রা হামলা করে।
এ সময় পলাশ ও মামুন, সন্ত্রাসী ইমান আলীকে বাধা দিলে তারা এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করে, বৃহস্পতিবার ও পরের দিন দুপুর ২টার দিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী ইমান আলী,রশিদ মিয়া,খলিল মিয়া, রুকু মিয়া,মো: মজিবর,মো: দেলোয়ার মিয়া,রাব্বি মিয়া,নেতৃত্বে ১০০ থেকে ১৫০ জন ভাড়াটে লোক নিয়ে দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি, লাঠিসোটাসহ আকবরুজ্জামান পলাশের পরিবারের লোকজনের উপর হামলা চালায়।
এ সময় বাড়ির লোকজন প্রতিবাদ করলে,সন্ত্রাসী ইমান আলী,রশিদ মিয়া,খলিল মিয়া, রুকু মিয়া,মো: মজিবর,মো: দেলোয়ার মিয়া,রাব্বি মিয়া,এলাকার সন্ত্রাসীদের নিয়ে হামলা চালিয়ে ৬ জনকে গুরুতর আহত করে।
আহতরা তামাবিল স্থলবন্দরের এলসি পাথর ব্যবসায়ী হওয়ায় তাদের সাথে থাকা ১০ লক্ষ টাকা এবং চেকবই, মোবাইল ফোনসহ সাথে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে বিবাদী সন্ত্রাসী ইমান আলী গংয়ের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত,সন্ত্রাসী মো: ইমান আলী, রশিদ মিয়া, খলিল মিয়া, রুকু মিয়া,মো: মজিবর,মো: দেলোয়ার মিয়া, রাব্বি মিয়া,কবরস্থানের জমি দখলের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন। সকালে দেওয়ালের কাজ করার সময় প্রতিপক্ষ আমাকে মারধর করে। পরে বিকেলে এলাকাবাসী তাদের উপরে হামলা করে। আমি এখন সিলেটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে জাফলং বিট পুলিশের ইনচার্জ এস আই এমরুল কবির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান দু`ই পক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি লেখায় কিছু ভুল রয়েছে অভিযোগকারীরা আসলে সংশোধন করে মামলা রেকর্ড করবো উভয় পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি উভয় পক্ষের কেউ আসেনি থানায়।
Leave a Reply