নরসিংদী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন বর্তমান মেয়র কামরুজ্জামান
আশরাফুল ইসলাম সবুজ
নরসিংদী প্রতিনিধি:
আজ ধানমন্ডি ৩ নাম্বার আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয় থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে, নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সহ সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ দের সাথে নিয়ে নরসিংদী শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি পৌর মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল মনোনয়ন ফরম গ্রহণ করেন, এই সময় উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা সাবেক সাধারন সম্পাদক, নরসিংদী জেলা পরিষদের সুযোগ্য চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মতিন ভূঁইয়া,বাংলাদেশ তাঁতী লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শওকত আলী, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিএম তালেব, সাধারণ সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত, পীরজাদা কাজি মহাম্মদ আলি,নরসিংদী শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আমজাদ হোসেন বাচ্চু সহ জেলা ও শহর আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ
তাছাড়া উপস্থিত ছিল, জেলা ও শহর যুবলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, শ্রমিক লীগের আহবায়ক ও সদস্য সচিব, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি, শহরের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, সদর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, নরসিংদী জেলা ও শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক,তাছাড়া সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরী হয় ধানমন্ডি কার্যালয়ে, বিজয়ের চিহ্ন, সকল নেতাকর্মীদের মুখে বিজয়ের হাসি, যেন বলে দেয়, আবারও আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য নৌকার প্রার্থী হতে যাচ্ছেন নরসিংদী শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি, মানবিক মেয়র বলে খ্যাত, কামরুজ্জামান কামরুল,নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল কে আসন্ন পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে বিকল্পহীন প্রার্থী বলে মনে করছেন
জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা তাদের মতামত প্রকাশ করে বলেন আমরা সম্পূর্ণ আশাবাদী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আবারো মেয়র পদে কামরুজ্জামান কে নৌকা প্রতীক দেবেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট সকল তথ্য থাকে, তার বিগত দিনের সংগঠনে যে সাংগঠনিক দায়িত্ব ছিল অক্ষরে অক্ষরে সফলতার সাথে পালন করেছে, করোনার সংকটময় পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি নির্দেশে নিজের জীবন ঝুঁকিতে রেখে মানুষের বাড়ি বাড়ি তে গিয়ে খাদ্য পৌঁছে দেয়, পৌঁছে দেয় করোনা প্রতিরোধে সহায়ক স্যানিটাইজার মাক্স সাবান ইত্যাদি, যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল নিউজ পোর্টাল থেকে মেয়র কামরুজ্জামান কে সাধুবাদ জানিয়ে বারবার নিউজ হয়েছে, আর নরসিংদী উন্নয়ন এখন সকলের কাছে দৃশ্যমান,বিগত দিনে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, পৌর শহরের বাসিন্দা হয়ে সিটি কর্পোরেশনের মত প্রশস্ত ডিভাইডেড রোড নির্মাণ করেছে, সবমিলিয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা বর্তমান পৌর মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল দলীয় মনোনয়ন পাবে বলে, তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন
তারা বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূলকে মূল্যায়ন করেন, আর মেয়র কামরুজ্জামান তৃণমূলের সর্বোচ্চ সমর্থন পেয়ে প্রার্থী হয়েছে, তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তৃণমূলের মতামত কে মূল্যায়ন করে আবারো মেয়র কামরুজ্জামানকে নৌকা প্রতীক দিবে, আমরা আগামী ১৪ ই ফেব্রুয়ারি আবারও তৃতীয়বারের মতো বিপুল ভোটে বিজয়ী করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে নৌকার বিজয় উপহার দেব,তাছাড়া অন্যদিকে মেয়র কামরুজ্জামান এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মত সেরকম যোগ্য প্রার্থী নেই বললেই চলে, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হওয়ার পরেও বিএনপির কে প্রার্থী হচ্ছে নরসিংদী পৌর নির্বাচনে তা এখনো জানা যাচ্ছে না, বার নির্বাচন নিয়ে সেরকম আগ্রহ তাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না, উল্লেখ্য নরসিংদী পৌর নির্বাচনে, সাবেক পৌর মেয়র বাংলাদেশের গোল্ড মেডেলিস্ট মেয়র লোকমান হোসেনের হত্যার পর উপনির্বাচনে তার ছোট ভাই কামরুজ্জামান ২০১২ সালে প্রথমে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মমতাজ উদ্দিন ভূইয়া কে পরাজিত করে, কামরুল প্রথমবারের মতো বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী মেয়র হন, বিগত নির্বাচন ২০১৫ সালের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন দ্বিতীয়বারের মতো কামরুজ্জামান, তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল বর্তমানে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত, তৎকালীন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম কাইয়ুম, দলীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নরসিংদীর বর্ধিত সভায় প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়ে বলেন বিদ্রোহীদের মনোনয়ন দেয়া হবে না, কিন্তু দলীয় নির্দেশনা না শুনে সে এবারও মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ থেকে,২০১৫ তত্কালীন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে তাকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার জন্য চিঠি দিয়েছিল, পরবর্তীতে সে মনোনয়ন প্রত্যাহার না করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করার সিদ্ধান্তে অনড় থাকে, তাই কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশনায় জেলা আওয়ামী লীগ তাকে বহিষ্কার করেছিল, কিন্তু তার বর্তমানে দাবি সে বিগত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল না, তাই এখানে তৎকালীন সময়ে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে যে চিঠিটা দেওয়া হয়েছিল তা তুলে ধরা হলো।
Leave a Reply