মোঃ লিমন গাজী
বরগুনা জেলা প্রতিনিধি
বরগুনার তালতলীতে বন বিভাগের জমাকৃত গাছ উধাও হওয়ার সময় দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত গাছ বুঝে পায়নি বনবিভাগ। গ্রহন করা হয়নি এর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ। স্থানীয় বনবিভাগ বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে চাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
উল্লেখ ২৩/১২/২০১৯ সকালে স্থানীয় আব্দুর রব, শাহিন, জয়নাল সহ বেশ কয়েকজন বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া ইব্রাহিম সুমনের বাড়ির সামনে থেকে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ইব্রাহিম সুমন বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে সে সময়ে দৈনিক চৌকস ও দৈনিক দিগন্তর পত্রিকায় সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে তৎকালীন সময়ের রেঞ্জ কর্মকর্তা নয় মিস্ত্রি ঘটনাস্থলে এসে গাছ জব্দ করে।
স্থানীয় সুলতান হাওলাদারের কাছে লিখিতভাবে ৪ পিস ইউকালেক্টর ৬ পিস রেইনট্রি ৬ পিস তালগাছ সহ মোট ১৬ পিস গাছ জমা রাখেন। কিছুদিন পরে সুলতান হাওলাদার ইব্রাহিমকে জানায় আপনার বাড়ির সামনের গাছ রেঞ্জ কর্মকর্তা লোক পাঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ইব্রাহিম তালতলী রেঞ্জ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অস্বীকার করে সেখানে লোক পাঠিয়ে দেখেন গাছ উধাও।
এ বিষয়ে ইব্রাহিম হাওলাদার জানায় আমার বাড়ির সামনের গাছ সরকারি অনুমতি ছাড়া কেটে নিয়ে গেলে আমি বিষয়টি বনবিভাগকে জানাই। তারা এসে গাছ জব্দ করে জিম্মাদারের কাছে জমা রাখে। কিছুদিন পরে তারা লোক পাঠিয়ে এখান থেকে গাছ নিয়ে যায়। রেঞ্জ কর্মকর্তা আমাকে জানায় গাছ টেন্ডার হবে।
কিন্তু আসল কথা হলো গাছই নেই তবে টেন্ডার হবে কি? তারা আমার সাথে বিভিন্নভাবে টালবাহানা করছে। আমার মনে হয় এরা গোপনে গাছ বিক্রি করে দিয়েছে। নয়তো দেড় বছর গড়ালেও গাছ উদ্ধারের কোনো কার্যক্রম নিচ্ছে না কেন বন বিভাগ?
এ বিষয়ে তালতলী বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানায়, গাছ হাড়িয়ে গেছে। জমাকৃত গাছ কিভাবে হারিয়েছে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, যার কাছে জমা ছিল তার থেকে হারিয়ে যাওয়ায় সে থানায় জিডি করেছে।
বরগুনা বন বিভাগের রেঞ্চ কর্মকর্তা জামাল উদ্দীন জানায়, জমাকৃত গাছ হারিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যে ভাবেই হোক উদ্ধার করে টেন্ডার দিতে হবে।
Leave a Reply