মোঃ লিমন গাজী
বরগুনা জেলা প্রতিনিধি
বরগুনার তালতলীতে ২০০৩-৪ সালের নির্মিত ব্রিজ হঠাৎ করে বিকট শব্দ হয়ে ভেঙ্গে যায়। এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায় বেশ কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থী। কর্তৃপক্ষের দাবি লোনায় ধরার কারণে ব্রিজের খুটিগুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ব্রিজটি ভেঙে গেছে। তবে এটি ভেঙে পড়বে এমনটি আশা করেননি এলাকাবাসি।
উপজেলার ৩ নং কড়ইবাড়িয়া ও ৫ নং বড়বগী ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানের ( দক্ষিণ ঝাড়াখালী ) নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজটি হঠাৎ করে ভেঙ্গে পড়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকার কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা। ঝুঁকিপূর্ণ এই ব্রিজের কারণে অনেক শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানা গেছে।
দুই ইউনিয়নে প্রায় হাজারের অধিক মানুষ এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হয়। এমনকি প্রতিদিন এই ব্রিজ দিয়ে বিদ্যালয় যাচ্ছেন জ্ঞানপিপাসু শতাধিক শিশুশিক্ষার্থীরা। হঠাৎ করে ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদেরকে।
জান্নাতি নামক এক শিক্ষার্থী জানায়, আমি ব্রিজ পার হয়ে এসে হঠাৎ বিকট শব্দ পাই এবং পিছনে দৌড়ে এসে দেখি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে। তবে ব্রিজ ভাঙার পূর্বে ঐ ব্রিজে আরো অনেক শিক্ষার্থী ছিল ব্রিজ ভাঙার আগে বিকট আওয়াজ শুনে সকলে ব্রিজ থেকে দৌড়ে দূরে সরে যায়। নয়তো এখানে তাদের মরতে হত।
এসইডিসি মডেল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো.আলমঙ্গির মোল্লা জানায়, আমার প্রতিষ্ঠানের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এই ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতি দ্রুত এর বিকল্প কোন পথ কিংবা সংস্কার না হলে অনেক শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে না আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মোল্লা জানায়, শিক্ষার্থীসহ প্রতিনিয়ত বহু লোকজন যাতায়াত করেন এই ব্রিজ দিয়ে। এটি ভেঙে থাকায় ভোগান্তির চরমে পৌঁছতে হয়েছে তাদেরকে।
তালতলী উপজেলা এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার আহমদ আলীর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি জানায়, অফিসে আসেন ফোনে কথা বলার সময় নাই বলে মুঠোফোন কেটে দেয়।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাওসার হোসেন জানায়, শিশু শিক্ষার্থী সহ সকল মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে অতি দ্রুত বিকল্প পথ বের করে দেওয়া হবে। হয় তো কাঠের ব্রিজ নয় তো বাশেঁর ব্রিজের ব্যবস্তা করা হবে।
Leave a Reply