1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
ভাঙা সড়ক সংস্কার ও ইভটিজিং বন্ধের দাবিতে সখিপুরে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন - dainikbijoyerbani.com
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২০ অপরাহ্ন
ad

ভাঙা সড়ক সংস্কার ও ইভটিজিং বন্ধের দাবিতে সখিপুরে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১৬ মে, ২০২২
  • ১৫৮ Time View

স্টাফ রিপোর্টার,

দৈনিক বিজয়ের বাণী:
টাঙ্গাইলের সখিপুরে ভাঙা সড়ক সংস্কার এবং ইভটিজিং বন্ধের দাবিতে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় তিন সহস্রাধিক শিক্ষার্থী সোমবার (১৬ মে) সকালে সখিপুর আবাসিক অনার্স মহিলা কলেজ সড়কের তিনটি স্থানে মানববন্ধন করেন। সখিপুর শহরের মোখতার ফোয়ারা চত্বর থেকে কলেজ পর্যন্ত মাত্র দেড় কিলোমিটার ভাঙা সড়ক সংস্কার ও রাস্তায় ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত বন্ধের দাবিতে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

সখিপুর আবাসিক অনার্স মহিলা কলেজ, সূর্যতরুণ শিক্ষাঙ্গণ স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং সখিপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচির আয়োজন করে। তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও এতে অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধন থেকে জানা যায়, সখিপুর শহরের মোখতার ফোয়ারা চত্বর থেকে মহানন্দপুর পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার সড়কটিতে রয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। তন্মধ্যে সখিপুর আবাসিক অনার্স মহিলা কলেজ পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কে বর্তমানে চলাচল করাই দুঃসাধ্যকর।আর ওই দেড় কিলোমিটার সড়কের মধ্যেই রয়েছে তিনটি কলেজসহ সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মহিলা কলেজ ও বালিকা উচ্চবিদ্যালয় সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিন সহস্রাধিক। সেখানে মধ্যে দেড় সহস্রাধিক রয়েছে মেয়ে শিক্ষার্থী। যাদের নিয়মিত চলাচল করতে হয় ওই সড়কটিতে। একদিকে সড়কটি খানাখন্দে ভরা তার উপর মোড়ে মোড়ে বখাটের উপদ্রবে অতিষ্ঠ ওই সব শিক্ষার্থীরা।

এথেকে থেকে রেহাই পেতে এবং সড়কটি সংস্কারসহ বখাটেদের উত্ত্যক্ত বন্ধের দাবিতে, আজ একযোগে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে ওই তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, সকাল সাড়ে ১০টায় নাগাদ সখিপুর আবাসিক মহিলা কলেজ ও সূর্যতরুণ শিক্ষাঙ্গণ স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে প্রথমে তারা বাগানচালা এলাকায় মানববন্ধন করে। এদিকে একই সময়ে সখিপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পৃথকভাবে সখিপুর উত্তরা মোড়ে এসে মানববন্ধনে অংশ নেন। পরে ওই তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একত্রিত হয়ে সখিপুর পৌরশহরের মোখতার ফোয়ারা চত্বরে গিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে। জানা যায়,মানববন্ধন কর্মসূচিকে সমর্থন করেন ওই সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষও।

এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সখিপুর আবাসিক মহিলা অনার্স কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফিক-ই-রাসেল ও বাংলাবিভাগের বিভাগীয় প্রধান মুহম্মদ আবদুল আলীম প্রমুখ। দুপুর ১২টা পর্যন্ত মানববন্ধন চলাকালীন সময়ে চারটি সড়কে চলাচলরত অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ার কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে ভোগান্তিতে পড়ে দূর-দূরান্তের যাত্রীরা।

মহিলা কলেজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর সহস্রাধিক শিক্ষার্থী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ভাঙাচোরা সড়কটির বেহাল অবস্থা দীর্ঘদিনের। বর্ষা মৌসুমে সড়কের মাঝখানে কাদা-পানি থাকায় এপাশ ওপাশ দিয়ে অনেক কষ্ট করে স্কুল-কলেজে যেতে হয়। আর সেই সুযোগে বখাটে ছেলেদের বিভিন্ন রকম কুরুচিপূর্ণ আচরণের শিকার হতে হয়। অনেক সময় কাদা লেগে শিক্ষার্থীদের পোশাক নষ্ট হয়ে যায়। আমরা দ্রুত এ সড়কটির সংস্কার সহ বখাটেদের অশোভন আচরণ থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে সখিপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, একেতে সড়কটি ভাঙ্গা তারপর আবার প্রতিটি মোড়ে বখাটেদের উৎপাতে ডানে বামে তাকানোর মতো কোনো সুযোগ থাকে না। স্কুলে যাওয়ার সময় ও ছুটির সময় যাতে ওই সড়কে পুলিশের টহল থাকে এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করতে জনপ্রতিনিধি এবং পুলিশ প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।

এ প্রসঙ্গে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ইভটিজিং বন্ধে আগামীকাল থেকে ওই সড়কে পুলিশের টহল থাকবে। ছাত্রীদের উত্ত্যক্তের বিষয়ে পুলিশের পাশাপাশি সমাজের সচেতন মানুষদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।

সখিপুর আবাসিক মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফিক-ই-রাসেল, তার বক্তব্যে নানাদিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন আমরা এপর্যন্ত অনেক জনপ্রতিনিধিদের কর্যক্রম দেখেছি। কোনো জনপ্রতিনিধিই সড়কটি সংস্কারে তেমন কোন টেঁকসই উদ্যোগ নেননি এবং সড়কটির এমন বেহাল অবস্থা জেনেও তারা সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না। আজ সে কারণেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরা একমত হয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হয়েছি। তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমরাই সেই জনগণ যাদের ভোটে আপনারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এই সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো যে সব জনপ্রতিনিধিদের চোখে পড়েনা,তারা যেন ভবিষ্যতে বাসাইল-সখিপুরের জনপ্রতিনিধির কোনো পদে নির্বাচনে না আসে।

সখিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আলম বলেন, সড়কটি সম্পর্কে ইতোমধ্যেই আমি অবগত হয়েছি। এ বিষয়ে আমি এলজিইডির প্রকৌশলীকে দ্রুতই সড়কটি সংস্কারের ব্যবস্থা নিতে বলেছি এবং ওই সড়কে ছাত্রীদের চলাচল নিরাপদ করতে প্রয়োজনীয় সকল কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

১৬.০৫.২২

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি