ফিরোজ আল মামুন
স্টাফ রিপোর্টার,কুড়িগ্রাম।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের রতিরাম পূর্ব পাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা, সবাই আমরা মহেন্দ্র তাকে কাকা নামে সবাই চিনে যার বয়স ৭০ বছরের বেশী। তিনি বর্তমানে এই বয়সেও পায়ে প্যাডেল চালিত রিকশা চালান এবং তার পরিবারসহ আরও দুই জন এতিম বাচ্চাকে লালন- পালন করে আসছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় তার প্যাডেল চালিত রিকশাটি দেনার দায়ে বিক্রি করে দেন। এমতাবস্থায় বর্তমান প্যাডেল চালিত রিকশাটি না থাকার কারণে অতিকষ্টে খেয়ে না খেয়ে জীবন যাপন করতে হচ্ছে। বর্তমান এই যান্ত্রিক যুগে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন রয়েছে যেমন- অটোরিকশা,চার্জার ভ্যান,মিশুক ইত্যাদি। মহেন্দ্র খুব স্বপ্ন ছিল এধরনের একটা যানবাহন ক্রয় করার।স্বপ্ন দেখেন ঠিকই কিন্তু স্বপ্ন পূরণের সাধ্য নাই! তাই রাজারহাট উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বদানকারী সন্মানিত ব্যক্তিবর্গ,শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক বৃন্দ সহ বিভিন্ন মহলের চাকরিজীবি ও ধনী ভাইয়েরা যদি আমার প্রতি সদয় হন তাহলে আমি আপনাদের সহযোগিতায় আমার পরিবারসহ এতিমদের নিয়ে ভালোভাবে জীবন যাপন করতে পারতাম। ছবিতে যে হতভাগাকে দেখা যাচ্ছে তার নাম মহেন্দ্র। ভিটামাটি নেই সন্তান থাকলেও তারাও নিজেরাই অচল,বয়স ৭০ এর বেশি। তার নিজস্ব কোনো বাড়ি ভিটা নেই। বৃষ্টিতে হয় নাকাল অবস্থা। টিনের চালে হাজারো ফুঁটা। পানি বন্ধ করার জন্য পলিথিনের প্যাকেট দিয়ে পানি বন্ধ করার ব্যর্থ চেষ্টা। শুধুমাত্র একটা ব্যাটারী চালিত রিকশা চেয়ে তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে সকলের নিকট আবেদন করেছেন। বৃদ্ধার করুণ দশা দেখে আশেপাশের সকলের দাবি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা লক্ষ লক্ষ অসহায় ভূমিহীন মানুষদের সাহায্য দিচ্ছেন। তাই সেই সকল লক্ষ লক্ষ অসহায় ভূমিহীন মানুষদের মতো এই অসহায় মহেন্দ্রকে চলমান মুজিববর্ষে একটি বরাদ্দ দিত তাহলে অন্তত খেয়ে না খেয়ে হলেও নিশ্চিন্তে মাথাগুজার ঠাঁইটুকু হতো। মহেন্দ্র বলেন,আশা রাখছি দয়া করে বিষয়টি বিবেচনা করে আমার এই হতদরিদ্র হতভাগার প্রতি সদয় হবেন। পেটের তাগিদে সারাদিন পরিশ্রম করে বাড়িতে এসে আরামে ঘুমাবো তাও ভালো। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুতি করছি আমাকে যেন একটা বরাদ্দ করে দেন।
Leave a Reply