মির্জাপুরে অবৈধ ইটভাটা মালিককে জরিমানা
মাসুদ পারভেজ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে ৫ টি অবৈধ ইটভাটা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। ৫ ইটভাটা মালিককে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টানা ৬ ঘন্টা অভিযান পরিচালিত হয়। টাঙ্গাইলের পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা অঞ্চলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে অবৈধ ইটভাটা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগন জানিয়েছেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের উপ পরিচালক মো. মোজাহিদুল ইসলাম জানান, মির্জাপুরে বেশ কিছু দিন ধরে অবৈধ ইটভাটা তৈরী করে সরকারী আইন অমান্য করে ইট তৈরী করে একটি অসাধু চক্র কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করে আসছে। অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠায় এক দিকে এলাকার পরিবেশ যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে , তেমনি সরকারও বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সুত্র জানায়, ইট ভাটা তৈরীর পুর্বে জেলা প্রশাসনের অনুমোদন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেওয়া বাধ্যতা মুলক। কিন্ত মির্জাপুর উপজেলায় শতাধিক ইটভাটা তৈরী হয়েছে যাদের অধিকাংশ ভাটার নেই কোন অনুমোদন। পরিবেশ অধিদপ্তর এবং সরকারী ভাবে এসব ইট ভাটায় কোন অনুমোদন না থাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. তামজিদ হোসেন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মোজাহিদুল ইসলামের নের্তৃত্বে আজ বুধবার অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে কোদালিয়া এলাকায় আশা ব্রিক্স, ভাই ভাই ব্রিক্স, হাকিম বিক্স, বাইমহাটি এলাকায় ঢাকা ব্রিক্স এবং পাকুল্যা এলাকায় এইচ বি এম ব্রিক্স ভেকু দিয়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। অবৈধ ইটভাটা গড়ে তোলায় ৫ ইট ভাটার মালিক শাহ আলম, সুলতান, সহিদ, রেমন ও আওলাদ হোসেনকে ৬ লাখ টাকা করে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তাদের এ অভিযান চলমান থাকবে বলে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. মোজাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল কাদের সিকদার এবং সাধারন সম্পাদক হাজী মো. মোক্তার সিদ্দিকী বলেন, মির্জাপুর উপজেলায় ৯২ টি ইট ভাটা রয়েছে, যাদের অধিকাংশের সরকারী ভাবে অনুমোদন রয়েছে। এ সব ভাটা মালিকগন সরকারকে নিয়মিত আয়কর ও ভ্যাট দিয়ে আসছে। যাদের কাগজপত্র নেই তারা হাইকোর্টে রিট করে ভাটা পরিচালনা করে আসছেন এবং বৈধ আগজপত্র পাওয়ার জন্য চেষ্টা করে আসছেন। হঠাৎ করে অভিযান পরিচালনা করায় ভাটা মালিকগন আর্থিক ভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
Leave a Reply