স্টাফ রিপোর্টার,
দৈনিক বিজয়ের বাণী:
টাঙ্গাইলের সখিপুরে প্রবাস ফেরত স্বামী খোকন মিয়া(৩৫)’র পুরুষাঙ্গ কর্তন করে পালিয়েছে স্ত্রী রুপা আক্তার(২৬)। শুক্রবার ১১মার্চ, ভোর রাতে উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের দাড়িয়াপুর গ্রামের নয়াপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তাদের ঘরে চার বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
যানাযায় ওই দিন ভোর রাতে হঠাৎ খোকনের আর্ত-চিৎকার শুনে পরিবার ও আশ-পাশের লোকজন এসে গুরুতর আহত খোকনকে উদ্ধার করে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক খোকনের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
আহত খোকনের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, প্রায় সাত বছর পূর্বে রুপার সাথে দাড়িয়াপুর নয়াপাড়ার সোনা মিয়ার ছেলে খোকনের সাথে দাড়িয়াপুর উত্তরপাড়ার ইসমাইলের মেয়ে রুপার বিয়ে হয়। খোকন মিয়া জানোয়ার মাসের শেষ সপ্তাহে বাড়ি ফিরে আসার পর থেকেই তাদের মধ্যে টাকা-পয়সার হিসাব নিয়ে কথা কাটাকাটি,ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। টাকা পয়সার হিসাব দিতে না পারায় খোকন মাঝেই রেগে যেতো।
একপর্যায়ে শুক্রবার ভোররাতে সুযোগ বুঝে দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে ঘুমন্ত খোকনের পুরুষাঙ্গ কেটে সটকে পড়ে স্ত্রী রুপা। খোকনের চাচা খাজু মিয়া জানায়, শুক্রবার ভোর ৪টা নাগাদ হঠাৎ খোকন বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করে উঠে। চিৎকারের শব্দ শুনে আমাদের পরিবারের লোকজন সহ আশ-পাশের লোকজন ছূটে এসে ঘরে প্রবেশ করতেই দেখা যায় খোকন ঘরের মেঝে পরে ছটফট করছে খোকনের স্ত্রী রুপাকে ঘরে পাওয়া যায়নি।
অবস্থা বেগতিক দেখে কালবিলম্ব না করে গুরুতর আহত খোকনকে উদ্ধার করে দ্রুত টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক খোকনের অবস্থার অবনতি দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। আহত খোকন বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান খোকনের চাচা খাজু মিয়া।
পরিবার ও আশপাশের লোকজন সূত্রে জানাযায়, স্ত্রী রুপা ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় খোকনের পাসপোর্ট,
স্বর্ণালংকার সহ খোকনের স্ত্রীর কাছে গচ্ছিত সমস্ত নগদ টাকা পয়সাও নিয়ে যায়। আর সে কারণে বিষয়টি রুপার পূর্ব পরিকল্পিত বলে ধারণা করছে এলাকাবাসী।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সখিপুর থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে মামলা করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলেও জানায় ভুক্তভোগী খোকনের স্বজনরা।
Leave a Reply