মির্জা সাইদুল ইসলাম সাঈদ
স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক বিজয়ের বানী।
টাঙ্গাইলের সখিপুর করোনা সংক্রমণ উদ্বেগ জনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী সেবা নিশ্চিত করণ ও হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসাধীন (ভর্তিথাকা) রোগী তথা হাসপাতালের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচও)ডাঃ মো. আব্দুস সোবহানের সার্বিক নির্দেশনায়, হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ নাজমুল হাসান খান মাসুদে’র তত্বাবধানে, মোটরসাইকেল রাখার জন্য নির্মিত ঢেউটিন দিয়ে নির্মিত ঘরটির এক পাশে চালু করেছেন ফ্লু কর্নার নামক একটি আলাদা ইউনিট এবং অপর পাশে সার্বক্ষণিক চালু রয়েছে সরকার ঘোষিত করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসাধারণের জন্য “টিকা”র নিবন্ধন কার্যক্রম।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, করোনা কালীন এই বৈশ্বিক মহামারীর সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতি দক্ষতার সহিত সেখানেই নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের কয়েকজন ডাক্তার সহ বেশ ক’জন উপসহকারী (কমিউনিটি) মেডিকেল অফিসার। এ ছাড়াও হাসপাতালে ছয়টি আলাদা বেড রয়েছে আইসোলেশনের জন্য এবং আট টি বেড রয়েছে করোনা সংক্রমিত রোগীদের নিয়মিত চিকিৎসার জন্য। এর মধ্যে আজ শুক্রবার (৩০জুলাই) আইসোলোশন ওয়ার্ড থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ছয়জন এবং নতুন করে ভর্তি হয়েছেন পাঁচজন এছাড়াও করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও দুইজন। বাকীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
উল্লেখ্য, গত বছর যখন করোনার তান্ডবে সারাদেশ আতংকিত, ঠিক সেই সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের দায়িত্বে থাকা- ডাক্তার, নার্স সহ বেশ কয়েকজন কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ছিলেন করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সম্মুখ যোদ্ধা, তাদের মধ্যে অনেকেই আক্রান্তও হয়েছেন এবং চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরে এসে পূনরায় তারা নিয়োজিত হন জনগনের চিকিৎসা সেবায়।
দ্বিতীয় দফার দাপুটে করোনা সংক্রমণ রোধেও ব্যতিক্রম ঘটেনি চিকিৎসা সেবার।
খোঁজনিয়ে জানা যায়, গত বছরের করোনায় প্রথম আক্রান্ত হন কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার,মো. রায়হান ফকির, মানিক ও তার স্ত্রী (নার্স) এবং ডাঃ জ্যোতি, ডাঃ ফারদীন, ডাঃ মাসুদ সহ আরও ক’জন ডাক্তার ও নার্স। এবারও সংক্রমিত হয়েছেন ডাঃ আফসানা ও কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, মো, হাফিজ মো.সেলিম ও ফরিদ হোসাইন। জানা যায় ফরিদ হোসাইন’র স্ত্রীও অসুস্থ, তার উপসর্গ বা লক্ষণ করোনা ভাইরাসের মতো হলেও তার নমুনা পরিক্ষা করা হয়নি। তারা দু’জনই হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জানতে চাইলে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আরএমও ডাঃ নাজমুল হাসান খান মাসুদ বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধ ও সংক্রমিতদের নিরাময়ে আমদের হাসপাতালের সকল ডাক্তার, নার্স ও কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা নিরলস ভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন এবং সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে টিকা কার্যক্রম সহ যে কোনো রোগীর চিকিৎসা দিতে সব সময় প্রস্তুত রয়েছেন।
Leave a Reply