1. dainikbijoyerbani@gmail.com : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. hasan@dainikbijoyerbani.com : Hasan :
  3. zakirhosan68@gmail.com : dev : dev
সুনামগঞ্জে এনজিওকর্মীদের চাপে হুমকির মুখে ঋণগ্রহীতারা - dainikbijoyerbani.com
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৯:৪৫ অপরাহ্ন
ad

সুনামগঞ্জে এনজিওকর্মীদের চাপে হুমকির মুখে ঋণগ্রহীতারা

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০২১
  • ২৮ Time View

সোহেল মিয়াঃ (সুনামগঞ্জ) থেকেঃ

লকডাউনের এই কঠিন পরিস্থিতিতে থেমে নেই এনজিওকর্মীরা, চাপ পড়েছে ঋণগ্রহীতাদের উপর।

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় এনজিওকর্মীরা লকডাউনের মধ্যে কিস্তি আ’দায়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এসব এনজিওকর্মীদের অ’ত্যাচারে নাজেহাল হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের ঋণগ্রহীতারা। ঋণের কিস্তি দিতে হিমশিম খাচ্ছে তারা। ঋণগ্রহীতারা অধিকাংশ ছোটখাট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক। এছাড়া এসকল এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ইজিবাইক, থ্রি-হুইলার, ভ্যান, কিনে চালান অনেকে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে চলমান লকডাউনে তাদের আয়ের উৎস বন্ধ থাকলেও বন্ধ নেই এনজিওর কিস্তি আ’দায়।

উপজেলার নরসিংপুর, সুনাইত্যা, ঘিলাছড়া,পূর্বচাইরগাঁওসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ভু’ক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, এখন আমাদের খাবার জোগাড় করা কঠিন। তারপর এনজিওকর্মীরা মাম’লা-হাম’লার ভয় দেখিয়ে কিস্তি আ’দায় করছে।

নরসিংপুর গ্রামের ফারুক মিয়া জানান, আমি ব্রাক ব্যাংক, মুল্লা পাড়া শাখা থেকে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে কৃষিকাজে লাগিয়েছি কিন্তু বর্তমানে দেশের যে অবস্থা কোন জায়গায় কাজকর্ম করার কোন সুযোগ নেই এই মুহুর্তে ঋণ দেওয়াতো দুরের কথা পরিবার পরিজন নিয়ে দুমুটো ভাত খেতে পারছিনা। ব্রাক ব্যাংক, মুল্লা পাড়া শাখার ব্যাংক কর্মকতা নিপেন্দ্র স্যারের চাপে আমি দিশেহারা আজ সকালে উনাকে ঋণ না দেওয়ায় উনি যাতা বলে বাড়িতে বসে থাকে সেই মুহুর্তে আমার এলাকার কিছু মানুষ ঝরু হওয়ায় আজকের জন্য রেহায় পেয়েছি। পূর্বচাইরগাঁও গ্রামের খলিল মিয়া বলেন, আমি ঋণ নিয়ে একটি ইজিবাইক কিনেছি লকডাউনের কারনে গাড়িঘুড়া বন্ধ থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে পরেছি বিপাকে এসময় কিভাবে ঋণ দেই বুঝে উঠতে পারছিনা এনজিওকর্মীরা এসে ঋণের টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে এবং হু’মকি দিচ্ছে টাকা না দিলে তাদের ইচ্ছে মতো যা কিছু নিয়ে যাবে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের ঋণ আ’দায়কারী কর্মচারী জানান, আমরা চাকরি করি। প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে টাকা আদায়ে। ঠিকমতো কিস্তির টাকা আদায় করে অফিসে জমা দিতে না পারলে আমাদের ও বেতন বন্ধ।এমনকি চাকরি ও হারাতে ‘হতে পারে।

নরসিংপুর গ্রামের স্থানীয় সমাজ সেবক মুহিবুর রহমান জানান, গ্রামের অনেকেই তার নিকট অভিযোগ করছে। লকডাউনের মধ্যে তারা খেতে পারছে না। তারপর আবার কিস্তির জন্য চাপ। এটা অমান’বিক।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিং
সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, করোনার এই পরিস্থিতিতে ১ (জুলাই) হতে লকডাউনের কারনে দেশের সর্বস্ব বন্ধ থাকায় বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে এনজিওকর্মীদের ঋণ আদায়, পরবর্তী ঘোষনা দেওয়ার আগ পর্যন্ত এ নিষেধ কার্যকর থাকবে। তবে সরকারের আইন অমান্য করে কোন এনজিওকর্মী যদি ঋণ নিতে আসে উপযুক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার উপর আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি