কামরুল ইসলাম গোয়াইনঘাট প্রতিনিধিঃ
বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিে সরকার ঘোষিত লকডাউনে অসহায় দিনমজুরদের তাৎক্ষণিক খাদ্য সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে জাতীয় কল সেন্টার ৩৩৩।
উক্ত কল সেন্টার ৩৩৩ – এ ফোন করে এ পর্যন্ত সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় ১ হাজারের অধিক অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবার খাদ্য সহায়তা পেয়েছেন। এর ধারাবাহীকতায় আজ ১০জুলাই দুপুরে ডৌবাড়ী ইউনিয়নের র ২৫০টি পরিবার জাতীয় কল সেন্টারে ৩৩৩ এ ফোন করে খাদ্য সহায়তা পায়।
দেশের শেষ সীমান্তে ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া-জৈন্তিয়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত গোয়াইনঘাট উপজেলায় বসবাস করেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে উক্ত খাদ্য সহায়তা পাওয়ায় উপকার ভোগী পরিবারগুলো অনেক খুশী।
২৫০ টি পরিবারের খানা প্রদানগনকে একত্রিত করে সামজিক দূরত্ব বজায় রেখে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়।
এব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান জানান, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় বন্যা ও বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশে চলছে কঠোর লকডাউন। দূর্যোগকালীণ ওই মূহুর্তে কেউ যাতে খাদ্যের অভাব বোধ করতে না পারে সে জন্য সরকার ৩৩৩ কল সেন্টারে ফোন দিয়ে সহায়তা চাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। সরকারি এ তথ্য গণমাধ্যমে প্রচারের জন্য গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা করেছি। পাশাপাশি ইউএনও ও পিআইও এর ব্যক্তিগত ফেইসবুকে ও উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক আইডিতে উক্ত বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস দেয়া হয়।
অপরদিকে উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন থেকে জাতীয় ৩৩৩ কল সেন্টারে ফোন করে সহায়তা চাওয়া ব্যক্তিদের সঠিক ঠিকানা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রাপ্তির জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়েছে। উক্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রত্যেক ইউনিয়ন থেকে রয়েছেন অনেক স্বেচ্ছাসেবী। এছাড়া উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন পরিষদের আবেদনকারীর সন্নিকটের মুদি দোকান থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে জাতীয় কল সেন্টার ৩৩৩ থেকে আসা তথ্য সাথে সাথে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবীরা আবেদনকারীর তথ্য যাচাই-বাছাই করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় অবগত করেন।
সহায়তা পাবার উপযোগী হলে আবেদনকারী ব্যক্তিকে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ৫ কেজি আলু, ১ লিটার সুয়াবিন তৈল, ১ কে জি পিয়াজ, ৫০০ গ্রাম সুজি, ১ কেজি ময়দা, ১ কেজি চিড়া, ১ কেজি লবন ও সাথে স্থানীয় সবজিসহ একটি পেকেট পৌঁছে দেওয়া হয়।
Leave a Reply