1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
নওগাঁয় তীব্র খরায় বিপর্যয়ের মুখে আম চাষীরা - dainikbijoyerbani.com
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন
ad

নওগাঁয় তীব্র খরায় বিপর্যয়ের মুখে আম চাষীরা

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ৮ মে, ২০২১
  • ১৩৬ Time View

নওগাঁয় তীব্র খরায় বিপর্যয়ের মুখে আম চাষীরা।
হোসেন (বাবু) নওগাঁ প্রতিনিধি :

উত্তরের আমের রাজধানী নওগাঁ। গাছে গাছে দুলছে বিভিন্ন রকমের আম। চাষিদের স্বপ্ন। কিন্তু প্রকৃতিতে বইছে তীব খরা।

কিন্তু আজকে ১:২০ ঘন্টার একটা বৃষ্টির বড় হয়েছে ফলে অনেক উপকার মিলবে বলে ধারণা করেছেন আম চাষিরা।

তীব্র দাবদাহে ছোট হয়ে আসছে আম। বোঁটা শুকিয়ে ঝরে পড়ছে। রোগবালাই দেখা দিয়েছে আমে। প্রতিষেধক দেয়া হলেও ফের পোকার উপদ্রব দেখা দিচ্ছে। সুফল না পাওয়ায় কপালে পড়ছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ বছর ২৫ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আমের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে পোরশা উপজেলায় ১০ হাজার ৫৫০ হেক্টর, সাপাহারে ৮ হাজার ৫২৫ হেক্টর, পত্মীতলায় তিন হাজার ১৫ হেক্টর এবং নিয়ামতপুরে ১ হাজার ১৩০ হেক্টর।
এছাড়া অন্যান্য উপজেলায় স্বল্প পরিমাণ আমের উৎপাদন হয়ে থাকে। আমের মধ্যে জাত ভেদে জেলায় মোট আমরুপালি ১০ হাজার ৬৩০ হেক্টর, গোপালভোগ ৪ হাজার ৮০ হেক্টর, খিরসাপাত ৩ হাজার ৮৯০ হেক্টর, ল্যাংড়া ৩ হাজার ৭৫ হেক্টর এবং নাখফজলি ১ হাজার ৫৪৫ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন। যেখানে গড় ফলন হেক্টর প্রতি ১২ মেট্রিকটন নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর ২৪ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমিতে আমের উৎপাদন হয়েছিল।

জেলার সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুর ও পত্নীতলা উপজেলায় পানি স্বল্পতার কারণে বছরের একটিমাত্র ফসল আমনের ওপর নির্ভর করতে হতো। কিন্তু গত কয়েক বছর থেকে ধানের আবাদ ছেড়ে আম চাষের দিকে ঝুঁকেছেন চাষিরা। পোরশা ও সাপাহারে উপজেলায় প্রায় তিনশতাধিক মৌসুমি আমের আড়ৎ গড়ে ওঠে। যেখান থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে। এখানে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার আম বেঁচাকেনা হয়ে থাকে।
চাষিরা বলছেন, অতিরিক্ত খরায় আমে বোটা শুকিয়ে ঝরে পড়ছে। আমে হপার ও মাকর পোকার আক্রমণ খুব বেশি।

পোকামাকড়ের আক্রমণে কালো হয়ে যাচ্ছে। প্রতিষেধক ব্যবহার করা হলেও কিছুদিন পর আবারও পোকার উপদ্রব দেখা দিচ্ছে। এবার অনাবৃষ্টির কারণে আমের ফলন কম হবে।
পোরশা উপজেলার গবিরা কুড়ি এলাকার চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি এবছর প্রায় ১৫০ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে আমরুপালি চাষ করছেন। প্রতি বিঘা জমির ইজার মূল্য পড়েছে গড়ে ১৫ হাজার টাকা। এছাড়া শ্রমিক, সার ও কীটনাশকসহ এখন পর্যন্ত আনুষঙ্গিক খরচ পড়েছে বিঘা প্রতি ১০ হাজার টাকা।

শুরুতে গাছে আমের গুটি ভাল ছিল। কিন্তু প্রচন্ড খরায় আম বাড়ছে না বরং ঝরে পড়ছে।
পোরশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহফুজ আলম বলেন, প্রথম দিকে আমে ভাল গুটি এসেছিল। তীব্র দাবদাহে আমের গুটি ঝরে পড়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছিল। তবে গত কয়েকদিন আগে প্রায় ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। মাটিতে রস এসেছে।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. শামছুল ওয়াদুদ বলেন, কৃষি অফিস থেকে চাষিদের নানাভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এতে করে আমে দাগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। এছাড়া যদি বৃষ্টি হয় তাহলে আম ঝরে পড়ার প্রবণতা থাকবে না। এতে আমের ভাল ফলনের আশা করছি। কৃষকরা লাভবান হতে পারবেন।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি