জিহাদ হোসেন রাহাত।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
‘শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড’ এই নীতি বাক্যের সাথে আমরা সকলেই কম বেশি পরিচিত।
অথচ প্রায় দেড় বছর যাবত বন্ধ রয়েছে মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠানগুলো। ভালো নেই শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক কেউই সকলের মনে ইতোমধ্যেই বাসা বেঁধেছে অজানা এক অনিশ্চিয়তা। কেমন হবে আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ এমন প্রশ্নে দিনরাত ভাবনার জগতে ঘুরছে অধিকাংশ অভিভাবকদের মন-মগজ।
হাঁপিয়ে উঠেছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া অধিকাংশ শিক্ষার্থী। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দিনের অধিকাংশ সময়ই তারা কাটিয়ে দিচ্ছে ফেসবুক,পাবজি,প্রি-ফায়ার সহ বিভিন্ন মাধ্যমে। কেউবা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পড়াশোনা ছেড়ে কর্মের খোঁজে পাড়ি জমিয়েছে প্রবাসে। ছাত্রদের বেলায় প্রবাস জীবন বা অন্য কোন কর্মে ঝুঁকে পড়ার চিত্র দেখা গেলেও ছাত্রীদের বেলায় প্রতিষ্ঠান বন্ধের এই সময় রুপ নিয়েছে বিয়ের মৌসুমে।
শুধু শিক্ষার্থী,অভিভাবক নয় চরম হতাশা ও মানসিক বিপর্যয়ে রয়েছে মানুষ গড়ার কারিগররাও। বেসরকারি শিক্ষকরা খুজছেন বিকল্প পেশা – আয়ের সন্ধান পেলেই ডানা মেলে উড়াল দিবে এমন চিন্তায় দিন পার হচ্ছে অধিকাংশ শিক্ষকের।
এমন চিত্র লক্ষ্মীপুরের শিক্ষক,শিক্ষার্থী অভিভাবকদের মাঝে ইতোমধ্যে পরিলক্ষিত হয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবি জানিয়েছেন অত্র জেলার সচেতন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল।
Leave a Reply