জাকির হোসেন সুমন সিলেট ব্যুরোঃ
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক আরোপিত জনসচেতনতায় কঠোরভাবে কলডাউন বাস্তবায়নে সিলেটে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। লকডাউন বাস্তবায়ন ও বিধিনিষেধ ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব,বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে কাজ করে যাচ্ছে।
সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি) সূত্রে জানা গেছে, লকডাউন বাস্তবায়নে মহানগরীজুড়ে ৪৬টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। একইসাথে পুলিশের ৯৭টি টহল টিম দিন-রাত মিলে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখন চূড়ায় অবস্থান করছেন। হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হচ্ছেন, মারা যাচ্ছেন শত শত মানুষ।
এই পরিস্থিতিতে ঈদের আগে টানা দুই সপ্তাহ কঠোর লকডাউনে ছিল বাংলাদেশ। ঈদের কারণে এক সপ্তাহ বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। তবে ঈদের একদিন পর,গতকাল শুক্রবার থেকেই সিলেটসহ সারাদেশে ফের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে।
এই লকডাউন বাস্তবায়নে নগরীর জিন্দাবাজার, লামাবাজার,রিকাবীবাজার,চৌহাট্টা,আম্বরখানা, টিলাগড়, মদিনা মার্কেট,তেমুখী,উপশহরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়েছে এসএমপি। মহানগরীর প্রবেশমুখগুলোতেও আছে চেকপোস্ট।পুলিশকে এসব চেকপোস্টে সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে। কোনো যানবাহন এলেই কোথায় যাবে,কেন যাবে এসব জিজ্ঞেস করছেন পুলিশ সদস্যরা। জরুরি হলে যেতে দিচ্ছেন, না হলে আটকে দিচ্ছেন। অনেক পয়েন্টেই অযথা বের হওয়া যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে,জরিমানা করা হচ্ছে।
এদিকে,লকডাউনের প্রথম দিনে গতকাল শুক্রবার বিধিনিষেধ অমান্য করায় পুলিশের অভিযানে সিএনজি অটোরিকশা ২৮টি, মোটরসাইকেল ৯টি, প্রাইভেটকার ৭টিসহ ৪৬টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়া সিএনজি অটোরিকশা ৩৫টি, মোটরসাইকেল ১৪টি, প্রাইভেটকার ৫টি ও অন্যান্য যানবাহন ৩৮টিসহ মোট ৯২টি যানবাহন আটক করা হয়। এছাড়া প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার টাকা জরিমানাও আদায় করা হয়েছে।
এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের জানান, লকডাউন বাস্তবায়নে এসএমপির ক্রাইম ও ট্রাফিক ডিভিশনের সাথে ডিবি পুলিশ ও পুলিশ লাইন্স অফিসার ও ফোর্স যৌথভাবে ৪৬টি চেকপোস্ট বসিয়ে কাজ করছেন। সকল থানা, ফাঁড়ি ও তদন্তকেন্দ্র এলাকায় ৯৭টি টহল টিম দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে।
Leave a Reply