মোঃ সোয়েব সরকার
বিশেষ প্রতিনিধি ( রাজশাহী )
বিদ্যালয়ের কক্ষের ভেতরে পানি ঢুকেছে। নষ্ট হচ্ছে চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চসহ জরুরি কাগজপত্র। বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষেও ঢুকেছে পানি। বিদ্যালয়ের মাঠের পর এবার ক্লাসরুম ও অফিস কক্ষে পানি ঢুকল।
বিদ্যালয় দুটি হলো চারঘাটের নন্দনগাছি বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় এবং কামিনী গঙ্গারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পাশে বিদ্যালয় দুটি অবস্থিত।
নন্দনগাছি বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় ৬ লাখ টাকা বরাদ্দে বিদ্যালয়ের মাঠটির সংস্কার করা হয়। পরে আরও ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় মাঠের পাশের পুকুরপাড় বেঁধে সংস্কার করা হয়। এত টাকা ব্যয়ে সংস্কারকাজ করার পরেও বছরের ছয় মাস ধরে মাঠে জমে থাকে পানি। স্কুলমাঠে খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গেছে।
গত শনি ও রোববারের সামান্য বৃষ্টিতে ওই বিদ্যালয় এবং এর পার্শ্ববর্তী কামিনী গঙ্গারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ ও ক্লাসরুম পানিতে ডুবে গেছে।
অভিভাবক ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের অপরিকল্পিত সংস্কারকাজের জন্য বিদ্যালয়ের আজ এমন অবস্থা। এছাড়াও নালা বন্ধ করে নন্দনগাছি উচ্চবিদ্যালয় অপরিকল্পিত পুকুর খনন করেছে যা মূল কারণ। এতে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
কামিনী গঙ্গারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলরুবা খাতুন বলেন, ‘সামান্য বৃষ্টিতেই আমাদের বিদ্যালয় ডুবে যাচ্ছে। ক্লাসরুম ও অফিসে পানি ঢুকছে। পার্শ্ববর্তী নন্দনগাছি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ ও পুকুর সংস্কার করার পর থেকে এ অবস্থা। তাদের সংস্কারকাজে পানির প্রবাহের নালা বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের মাঠ ও পুকুর সংস্কারের আগে আমার বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করত না।’
নন্দনগাছি বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান শিবলী বলেন, ‘বিদ্যালয়ের ভালোর জন্যই মাঠ ও পুকুর সংস্কার করেছি। সংস্কারকাজে কোনো অনিয়ম হয়নি।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান বলেন, ৬ লাখ টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ ও দেড় লাখ টাকায় পুকুর সংস্কার করার পর জলাবদ্ধতা আরও বেড়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
ছবির শিরোনাম: এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অপরিকল্পিত সংস্কারকাজের জন্য বিদ্যালয়ের আজ এমন অবস্থা। পানিতে ডুবে আছে চেয়ার-টেবিল। সামান্য বৃষ্টিতেই অফিস ও শ্রেণিকক্ষে জমে হাঁটুপানি। ছবিটি গতকাল রাজশাহীর চারঘাটের কামনী গঙ্গারামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তোলা।
Leave a Reply