1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
বৃটেনের সমুদ্র সৈকতে কার্ডিফ বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের বিনোদন ভোজন‌ অনুষ্ঠিত - dainikbijoyerbani.com
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৯ অপরাহ্ন
ad

বৃটেনের সমুদ্র সৈকতে কার্ডিফ বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের বিনোদন ভোজন‌ অনুষ্ঠিত

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৮১ Time View

হাকিকুল খোকন ,সিনিয়র প্রতিনিধি:

বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও রৌদ্রোজ্জ্বল সুন্দর মনোরম ও আনন্দঘন পরিবেশে বৃটেনের কার্ডিফ বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে ইংল্যান্ডের পশ্চিম তীরে সেভার্ন এস্টুয়ারী এবং আটলান্টিক সাগর পারে অবস্থিত ওয়েস্টন সুপার ম্যায়ারে গত রোববার ৫ সেপটেনবর বিনোদন ভোজন‌‌ বিলাশের আয়োজন‌ করা হয়। এই বিনোদন সফরের আয়োজনে অংশ নিয়েছেন ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারপার্সন এম হান্নান শহীদুল্লাহ, অনারারী সেক্রেটারী এম আসকর আলী , ইউকেবিডি টিভির চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সাংবাদিক এম মকিস মনসুর, শেখ মোহাম্মদ আনোয়ার,রকিবুর রহমান,শিশু কিশোর ও মহিলাদের ছাড়াও বিশেষ সফর সঙ্গী হিসাবে দলের সাথে ছিলেন বিশেষ অতিথি এম ছালিক মিয়া ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড: সৈয়দ আব্দুল লতিফ দেওয়ান, আব্দুর রব , বদরুল হক মনসুর, তোফায়েল আহমেদ, শেখ জায়েদ রহমান, এম রকিব মনসুর সহ নব প্রজন্মের সন্তানেরা উপস্থিত ছিলেন।

ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারপার্সন মোহাম্মদ হান্নান জানান বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর প্রবাসী বাংলাদেশীদের কল্যান পরিকল্পনার অংশ হিসাবে কার্ডিফ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশীদের একটি দল একগেয়েমী জীবনের অবসান করতে ওয়েস্টন সুপার ম্যায়ার যাত্রা করেন। ওয়েস্টন সুপার ম্যায়ার ইংল্যান্ডের পশ্চিম তীরে সেভার্ন এস্টুয়ারী এবং আটলান্টিক সাগর পারে অবস্থিত। অনেক সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ প্রশস্ত এই সমুদ্র সৈকতে যারাই যখন গিয়েছেন নানান ধরণের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে দিন কাটানোর তৃপ্তি পেয়েছেন। নিরাশায় ভরা মন নিয়ে সেথায় যে কেউ গিয়েছে সাগর জলে ধুয়ে মুছে তাহা সুস্থ সতেজ মন নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। বিস্তৃত ক্ষীণ ঢালু সমতল ভূমিতে বিচরণে অনেক তৃপ্তি পাওয়া যায় লোকজনের চোখেমুখে তাকালেই অনায়াসে তাহা বুঝা যায়। খবর বাপসনিউজ।

একটি এক্সিকিউটিভ কোচ ভর্তি পঞ্চাশ জনের প্রবাসী বাংলাদেশীদের একটি দল সেখানে গিয়ে পৌঁছায় দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে। এসোসিয়েশন এর ব্যবস্থাপকদের পক্ষ থেকে যাত্রা শুরুর প্রাক্কালে বলে দেয়া হয়েছে গ্র্যান্ড পিয়ারের কাছাকাছি কোচ থেকে অবতরণ করে সবাই সমুদ্র জলের উপর ভাসমান লোহার কাঠামোয় নির্মিত গ্র্যান্ড পিয়ারে অবস্থান নিতে। সমুদ্র তীর থেকে প্রায় পাঁচশত গজ দূরে জলরাশির পরে দাড়িয়ে আটলান্টিক সাগরের পরে বহমান নির্মল ও অক্সিজেন সমৃদ্ধ বাতাসে শ্বাস নিয়ে প্রশান্তি অনুভব করাকে কিছুতেই ছোট করে দেখার বিষয় নয়। সবাইকে এহেন মনমানসিকতার আলোকে বলে দেয়া হয়েছে। সমুদ্র তীরে বসে অথবা সৈকতে বিচরণ করে যতোটা মজা পাওয়া যায় তার চেয়ে পিয়ারে অবস্থান নিয়ে তীর মুখী ঢেউয়ের পর ঢেউয়ের দৃশ্য দেখা অনেক বেশী তৃপ্তিদায়ক তাহা কোন মতেই ছোট করে দেখার কথা নয়।

যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে কোচ নির্দিষ্ট পার্কিং এর জায়গায় চলে গেছে। যাবার আগে মোবাইল নাম্বারটা দিয়ে গেছে। ফিরে যাবার সময় হলেই তাকে ডাকতে হবে এবং ড্রাইভার দশ মিনিটে এসে যাবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কোচ থেকে নামা হলো তবে চারশত গজের মত দূরত্বের পথ হেটে গিয়ে পিয়ারে যেতে হবে। ভরা জোয়ারের পানি তীরের বালুকা ভূমিতে আঁচড়ে পড়ছে দেখে দলের অনেকেই পিয়ারে যাবার খেয়াল ছেড়ে দিয়েছে। আটলান্টিক বিধৌত ঢেউয়ের সাথে মিতালি জমাতে তারা সবাই নেমে গেছে জলে।

কয়েক পরিবারের মহিলারা নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় কিছু স্বদেশী খাবার সাথে করে নিয়ে গেছেন। পিয়ারের অন্তিম প্রান্তে যাবার পথে মধ্য পথে চলমান পিয়ার রেলের দুই পাশে রয়েছে অসংখ্য বেঞ্চ। এখানে বসে লোকজনদের খাবার খেতে দেখা যায়। আসলে এই বেঞ্চগুলো নির্মান করে রাখা হয়েছে দুই পাশের সৈকতে সমুদ্রের জোয়ার ভাটা অবলোকন করার জন্য। মনোরম দৃশ্য আর সমুদ্র বিধৌত নির্মল বাতাসে বসে শ্বাস নিতে চাইলে যে কেউ এখানে সারাদিন বসে থাকতে পারবে। আমরা সুযোগের সদ্ব্যবহার করে মহিলাদের কৃপায় নিয়ে যাওয়া খাবার সমুহ একে অন্যের সাথে ভাগাভাগি করে উপভোগ করে পেটের চাহিদা পুরণ করে নেই। এজন্য মহিলাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাতে ভুল করলে তাদের প্রতি কারপণ্যতা করা হবে। সংগঠনের কাজে এভাবে অংশ গ্রহণ করার জন্য তাদেরকে জানানো হয় প্রাণ ঢালা শুভেচ্ছাসহ অসংখ্য ধন্যবাদ।

ততক্ষণে ভাটার টানে ভরা জোয়ার হারিয়ে অনেক দূর চলে গেছে। আমাদের অবস্থান এখন জলশূণ্য ভূমির অনেক উপরে উঠে গেছে। আর দেরী নয় পিয়ারের দুই পাশের লম্বা সৈকত এখন চেপটা বেলাভূমিতে পরিণত হয়ে গেছে। তাই বিস্তৃত সৈকতে খানিক বিচরণ করতেই হয়। পিয়ার থেকে বিদায় গ্রহণ করে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে সবাই হাটতে হাটতে একে অন্যের দৃষ্টির আড়াল হয়ে গেছে। নিজেদের ছাড়া অন্যদের কোথাও নজরে পড়ছে না। বাড়ি ফিরে যাবার কথা কারো মুখে শুনা যায় না। আর কতক্ষণ থাকবে সেথায়? সন্ধ্যা নামার আগেই বাড়ি ফেরা চাই। মোবাইলের সাহায্যে একে অপরের অবস্থান জেনে নিয়ে সবাইকে কোচ থেকে অবতরণের স্থানে ফিরে আসার আহবান জানানো হলো। প্রায় আধাঘন্টা সময়ের মধ্যে সবাই চলে এলো। ড্রাইভারকে ডাকা হতেই সে ঠিক দশ মিনিটেই এসে গেলো। অনেক প্রফুল্ল মনে কার্ডিফ ফিরে আসার লক্ষ্যে বিদায় নিলেম ওয়েস্টন সুপার ম্যায়ার থেকে। বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন কার্ডিফ আয়োজিত বিনোদন কাল নির্বিঘ্নে উপভোগ করার এই সুবর্ণ সুযোগের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়েছে।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি