1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
শ্রীলঙ্কা অর্থসংকটে অন্ধকারচ্ছন্ন - dainikbijoyerbani.com
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৯ অপরাহ্ন
ad

শ্রীলঙ্কা অর্থসংকটে অন্ধকারচ্ছন্ন

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ১৪৯ Time View

হাকিকুল ইসলাম খোকন ,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃ

জ্বালানি কিনতে না পারায় চাহিদামতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না শ্রীলঙ্কা। অর্থসংকটে এবার ঘরে ঘরে তাই বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

আর সে কারণেই প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে লঙ্কান কর্তৃপক্ষ। খবর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের।

শ্রীলঙ্কার পাবলিক ইউটিলিটি কমিশন জানিয়েছে, সোম ও মঙ্গলবার দুই ঘণ্টা করে বন্ধ থাকার পর বুধবার টানা সাড়ে চার ঘণ্টা বৈদ্যুতিক গ্রিড বন্ধ রাখবে তারা। অঞ্চলভেদে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে।

লঙ্কান নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জ্বালানি ঘাটতির কারণে জাতীয় গ্রিডে ৭০০ মেগাওয়াট কম যোগ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রায়াত্ত সিলন ইলেক্ট্রিক বোর্ড বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার অনুমতি চেয়েছে।

ইউটিলিটিজ কমিশনের চেয়ারম্যান জনাকা রত্নায়েকে বলেছেন, জ্বালানি ঘাটতির কারণে এই সমস্যা হচ্ছে। এটা জ্বালানির সংকট, বিদ্যুতের নয়।

করোনাভাইরাস মহামারির আঘাতে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, গত জানুয়ারিতে ৫০ কোটি ডলারের বন্ড পরিশোধের পর তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৩৬ কোটি ডলার। অথচ এ বছর তাদের ঋণের কিস্তি রয়েছে ৭০০ কোটি ডলারের বেশি, এর মধ্যে জুলাইয়েই আরও ১০০ কোটি ডলারের বন্ড পরিশোধ করতে হবে লঙ্কানদের।

এমন সংকটের মুখে শ্রীলঙ্কায় নিত্যপণ্যের চরম ঘাটতি দেখা দিয়েছে। দুধ, গ্যাস, কেরোসিন কিনতে দোকানগুলোর সামনে মানুষের লম্বা লাইন দেখা গেছে। পণ্যের দামও বাড়ছে অস্বাভাবিক গতিতে। লঙ্কান কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, দেশটিতে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে গত ডিসেম্বরে ১২ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছেছে। একই সময়ে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে অন্তত ২২ শতাংশ।কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রা ঘাটতির কারণে আমদানিকারকরা বিদেশ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনতেও পারছেন না। ফলে দেশটি ঘুরে ফিরে আবারও সেই ‘বিদেশি ঋণের ফাঁদে’ পড়তে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি