মুহাম্মদ আমির উদ্দিন কাশেম জেলা প্রতিনিধি মৌলভীবাজার:-
মৌলভীবাজারে কুলাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী শরীফপুর ইউনিয়নে, ভারতের ক্ষমতাসীন চরম মুসলিমবিদ্ধেষী হিন্দুত্ববাদি উগ্র সংগঠন “গুজরাটের খশাই” খ্যাত মোদি সরকারের বিজেপির মুখপাত্র নূপূর শর্মা ও দলের দিল্লি শাখার মিডিয়া ইউনিটের প্রধান নভিন কুমার জিন্দাল কর্তৃক বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ সা. ও তার স্ত্রী হযরত আয়েশা রা. কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ কটুক্তি ও আপত্তিকর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ শুক্রবার (১০জুন) বিকালে চাঁতলাঘাট বটতলা ও সঞ্জরপুর থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ নিয়ে স্থানীয় হাজি গঞ্জ আমতলাবাজারে জড়িত হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় হামিয়ুস সুন্নাহ চাঁতলাঘাট মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল জব্বার ও যুবদল নেতা কাওসার আহমদের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন ন’মৌজা মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আরকান উদ্দিন।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামেয়া ইসলামীয়া কর্মধা টাইটেল মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস খতিব মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, ন’মৌজা রাহমানিয়া মহিলা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা নাজমুল হক মুহসিন, ১১নং শরীফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খলিলুর রহমান খলিল, সাবেক চেয়ারম্যান জুনাব আলী, সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান মানবাধিকার কর্মী নছিবুর রহমান নাছিম, লালার চক দারুল কোরআন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু তাহের, তেলিবিল এহইয়া উল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মাওলানা ইসহাক আহমদ, মোহাম্মদ জামাল আহমদ, ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ হারুন মিয়া, মাস্টার শামসুল হক কনা, চাতলাঘাট বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ দুলাল মিয়াপ্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বক্তব্যে বক্তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান এবং ভারতের ক্ষমতাসীন চরম মুসলিমবিদ্ধেষী হিন্দুত্ববাদি উগ্র সংগঠন বিজেপির মুখপাত্র নূপূর শর্মা ও নভিন জিন্দাল কর্তৃক বিশ্বনবী মোহাম্মদ সা. ও তার স্ত্রী আয়েশা রা. কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ কটুক্তি ও আপত্তিকর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
সাথে সাথে বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিষয়টির রাষ্টীয়ভাবে প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপনের জন্য জোর দাবি জানান তারা।
সমাবেশ শেষে আমতলা বাজার থেকে শুরু করে বটতলা বাজার পর্যন্ত মিছিল নিয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে তাওহীদি জনতা, এসময় নূপুর ও জিন্দালের প্রতিকৃতি বানিয়ে জুতার মালাসহ আগুনে নিক্ষেপ করে তাদের ফাঁসি চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
Leave a Reply