মোঃ জহুরুল ইসলাম সৈকত, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৬৮ ব্যাচের মেধাবী ছাত্র ছিলেন বগুড়া শহরের মালতিনগর দক্ষিণ পাড়ার খাদেম আলী। ২০০৭ সালে আকস্মিকভাবে মারা যান তিনি। খাদেম আলীর সাথে ১৯৬৮ ব্যাচের বন্ধুদের দীর্ঘ কোন যোগাযোগ না থাকায় বন্ধুমহলের কয়েকজন তার বাসায় আসেন খোঁজ নিতে। এসে জানতে পারে খাদেম আলী মারা গেছেন এবং তার স্ত্রী ও অসুস্থ ছেলে খুব অসহায় ভাবে জীবন যাপন করছেন। পরবর্তীতে তারা বাকৃবি ১৯৬৮ সালের ব্যাচের সকল বন্ধুদের সাথে কথা বলে আর্থিক যোগানের ব্যবস্থা করে মৃত বন্ধুর অসহায় পরিবারকে একটি সিএনজি দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর কথা ভাবেন।
এরই ফলশ্রুতিতে সবার সহযোগিতায় একটি সিএনজি ক্রয় করে ১৪ জুন (বুধবার) সকালে গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক) প্রধান কার্যালয়ে মৃত খাদেম আলীর স্ত্রী নার্গিস বেগম ও ছেলে নাজমুল ইসলামের হাতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৬৮ ব্যাচের পক্ষ হতে সিএনজি হস্তান্তর করা হয়।
এসময় মৃত খাদেম আলীর স্ত্রী ও ছেলে বলেন, তারা খু্ব অসহায় ভাবে জীবন যাপন করছিলেন। তাদের এই দুঃসময়ে তারা এই সিএনজি টি ভাড়ায় চালিয়ে কিছুটা স্বচ্ছল ভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন। তাদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দাড়ানোর জন্য তারা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৬৮ ব্যাচের সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য প্রফেসর ড. গোলাম শাহি আলম, ফিনলে চা বাগানের সাবেক ব্যবস্থাপক জামাল আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ চিনি ও ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের অব: প্রাপ্ত পরিচালক সাইফুল আলম খান চৌধুরী, বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম, গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক) এর সিনিয়র পরিচালক ড. মাহবুব আলম প্রমুখ।
Leave a Reply