গোলাম কিবরিয়া বরগুনা :
বরগুনা জেলায় প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার অধিক রোগীর সংখ্যা দাড়িয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জন রোগীর। এ ডেঙ্গু রোগী থেকে বাচতে আজ শুক্রবার বামনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুম্মাবাদ বিশেষ দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও বামনা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ রানা ব্যাক্তি উদ্যোগে মসজিদে এ দোয়া মোনাজাত হয়। অপরদিকে পদক্ষেপ নিতে কর্তৃপক্ষকে আহবানও জানিয়েছেন তিনি। এসময় দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: হারুন অর রশীদ হাওলাদার, উপজেলা বিএনপির যুগ্ন-আহবায়ক মিজানুর রহমান মজনু, আহবায়ক সদস্য ও বামনা প্রেসক্লাব সভাপতি আবু নাসের সিদ্দিক গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। সেখানে জরুরি ভিত্তিতে দুজন চিকিৎসক ও ১০ জন নার্সকে পদায়ন করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায় , জেলায় নতুন আক্রান্ত ৭৭ রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ৫৮ ও বাকিরা বিভিন্ন উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়। বর্তমানে জেলায় ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে ২৭১ জন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬০৮ জন।
বরগুনা জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও বামনা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ রানা বলেন, আল্লাহর কাছ থেকে পরিত্রান পেতে আজ জুম্মাবাদ বিশেষ দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। সরকারের দৃষ্টি রাখা উচিত সব জায়গায়। কিন্তু এই সরকার সব জায়গায় দৃষ্টি রাখতে পারছেন না। বরগুনায় প্রচণ্ড পরিমাণে মশার উপদ্রব হয়েছে। কিন্তু মশা তাড়ানো কিংবা নিধনের কোনো কার্যক্রম নেই। প্রশাসন এ ক্ষেত্রে পুরোপুরি উদাসীন। ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। মশা নিধনে সরকার এবং স্থানীয় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানবিএনপির এ নেতার।
এ বিষয়ে বরগুনা সিভিল সার্জন আবুল ফাত্তাহ বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিনজন মারা গেছে। তাদের মধ্যে দুজন বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে এবং একজন ঢাকায় নেওয়ার পথে যাত্রাবাড়ী এলাকায় মারা যায়। নানামুখী সংকটের মধ্যেও জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
Leave a Reply