মোঃমাজহারুল ইসলাম মলি
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বরগুনার আমতলীতে শিক্ষককে পরিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী না দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। সারাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসএসসি সমমানের শিক্ষার্থীদের পরিক্ষায় অংশগহণের আগ মূহুর্তে স্কুল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিদায় সংবর্ধনা দেওয়ার প্রচলন থাকলেও এই আনন্দ উপভোগ করতে পারেনি আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া তাজেম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২২ সালের ১১০ জন এসএসসি সমমানের পরিক্ষার্থীরা।এলাকায় খোঁজ নিয়ে বঞ্চিত শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবক সুত্রে জানাযায়, গত কয়েকদিন আগে বিদায় অনুষ্ঠান নিয়ে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা হয়, ঐ আলোচনায় শিক্ষকেরা বিদায়ী শিক্ষার্থীদের কাছে উপহার হিসেবে সকল শিক্ষক কর্মচারীর জন্য একটি করে (ফ্রাই পেন) দাবি করেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজন উক্ত স্কুলের সাসপেন্ড শিক্ষক (জহির মাস্টার) ও অনিয়মিত শিক্ষক টুটু মাস্টারকে উপহার (ফ্রাইপেন) দিতে অস্বীকার করলে শিক্ষকেরা তাদেরকে বিদায়ী সংবর্ধনা দিবেন না বলে জানিয়ে দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, আমরা এই স্কুলে দীর্ঘ পাঁচবছর লেখাপড়া করেছি, নিজেদের অজান্তেই স্যারদের সাথে কতনা অন্যায় করেছি, তাই বিদায় লগ্নে স্যারদের সন্তুষ্টির জন্য সকল বন্ধুরা মিলে প্রত্যেকে তিনশত টাকা করে চাঁদা তুলে স্যারদের উপহার সামগ্রী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে স্যারদের কাছে কি উপহার নিবেন জানতে চাইলে স্যাররা একটি করে ফ্রাই পেন দাবি করেন। এর মধ্যে একজন শিক্ষক (জহির মাস্টার) চরিত্রহীন ও টুটু মাস্টার স্কুলের ক্লাস না নিয়ে এলাকায় মেম্বারি করেন, তাই আমরা তাদের উপহার সামগ্রী না দেওয়ায় কথা বলায় স্যাররা আমাদের বিদায় সংবর্ধনা দেয়নি।
বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, স্যাররা সংবর্ধনা না দেওয়ার কথা শুনে পড়ালেখা বাদ দিয়ে সকল ছাত্রছাত্রীরা মিলে উক্ত স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে সাথে নিয়ে স্যারদের হাতে পায়ে ধরে ক্ষমা চাওয়ার পরে সর্বশেষ ১৬ জুন বৃহস্পতিবার সকল বিদায়ী ছাত্রছাত্রীদের ডেকে এডমিট কার্ড দিয়ে সাব জানিয়ে দিয়েছেন তোমারা বেয়াদবি করেছো, তোমাদের কোন বিদায় অনুষ্ঠান হবে না।
এবিষয়ে কাঁঠালিয়া তাজেম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ.ফ.ম আওলাদ হোসেন স্বপন তালুকদার জানিয়েছেন, কিছু উচ্ছৃংখল ছেলেদের জন্য বিদায় অনুষ্ঠান করা হয়নি। ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা অস্বিকার করেন। আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিয়াউল হক মিলনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply