হাসান বদরুল জৈন্তাপুর প্রতিনিধিঃ
কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের জন্তিপুর গ্রামের ১৮ বছরের এক শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় কানাইঘাট থানা পুলিশ ২ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে।
ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থী মেয়েটিকে শুক্রবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ।
শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বিকাল ২ টার দিকে একটি বাড়ি থেকে টিউশনি করে বাড়ি ফেরার পথে জন্তিপুর গ্রামের মৃত মুরাকিব আলীর পুত্র রাস্তার পাশে অবস্থিত রিয়াজ উদ্দিন তার বসত বাড়িতে ডেকে নেয় তাকে।
এসময় রিয়াজ উদ্দিনসহ জন্তীপুর গ্রামের মৃত কবির উদ্দিনের পুত্র সুহেল আহমদ ও রাধানগর গ্রামের ইয়ারীছ আলীর পুত্র ফয়ছল আহমদ ও সিদ্দিক আলীর পুত্র গিয়াস আহমদ, জন্তিপুর গ্রামের মিনহাজ উদ্দিনের বাড়িতে বসবাসরত তার ভাগ্না সুহেল উদ্দিন বসত ঘরে প্রবেশ করে শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে জোর পূর্বক ভাবে ধর্ষণ করে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে মেয়েটি তার পরিবারের লোকজন দের নিয়ে থানায় এসে অভিযোগ জানালে থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম পিপিএম এর নির্দেশে পুলিশ রাতেই এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুহেল আহমদ ও ফয়ছল আহমদকে গ্রেপ্তার করে।
ধর্ষনের ঘটনায় মেয়েটির পিতা বাদী হয়ে থানায় ৫জনের বিরুদ্ধে একটি র্ধষণ মামলা দায়ের করেছেন। থানার মামলা নং ১৭,তাং১৬/০৭/২১ ইং।
ভিকটিমের স্বজনরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রিয়াজ উদ্দিন মেয়েটিকে বিয়ে করবে বলে অনেক দিন থেকে প্রেম প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বৃহস্পতিবার ২ টার দিকে টিউশনি করে বাড়িতে ফেরার সময় রিয়াজ উদ্দিন মেয়েটিকে তার বসত বাড়িতে ডেকে নেওয়ার পর এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে মুল হোতা রিয়াজ উদ্দিন পলাতক রয়েছে।
থানার ওসি তাজুল ইসলাম পিপিএম জানান, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার সাথে জড়িত ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ও ভিকটিমকে সিওমেক হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। মেয়েটির পিতা থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন। তদন্তপূর্বক যারা ধর্ষণের সাথে সরাসরি জড়িত তাদের কেও আটক করা হবে।
এবিষয়ে উক্ত মামলার তদন্ত কর্মকতা এবং কানাইঘাট থানার (ওসি) তদন্ত জাহিদুল হক বলেন যে ঘটনাটি সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে তা সংঘটিত হওয়ার পর খবর পেয়ে কানাইঘাট থানা পুলিশ অভিযানে নামে এবং তাৎক্ষণিক ঘটনার সাথে জড়িত দুই জন আসামীকে গ্রেফতার সক্ষম হই আমরা বাকি আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য আমি সহ আমাদের পুলিশের ঠিম কাজ করে যাচ্ছে আসা করি দ্রুত সময়ের ভিতরে ঘটনার সাথে জড়িত পালতক আসামীদের গ্রেফতার করতে পারব।
আমি সহ কানাইঘাট থানার ওসি তাজুল ইসলাম পিপিএম মাঠে থেকেই কাজ করছি আমরা চাই কানাইঘাট থানাকে অপরাধ মুক্ত করতে,এতে যে কোন অপরাধীর স্থান কানাইঘাটে হবে না,কানাইঘাট থানা পুলিশ সব সময় তৎপর রয়েছে মাঠে। এতে সবার সহযোগীতা প্রয়োজন।
Leave a Reply