1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
শোক দিবসে হাফিজ নাজনীন ফাউন্ডেশনের বৃত্তি পেয়ে আপ্লুত অদম্য মেধাবীরা - dainikbijoyerbani.com
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৩ পূর্বাহ্ন
ad

শোক দিবসে হাফিজ নাজনীন ফাউন্ডেশনের বৃত্তি পেয়ে আপ্লুত অদম্য মেধাবীরা

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২৭ আগস্ট, ২০২১
  • ৮৪ Time View

রিপোর্টঃ মোঃ ফেরদৌস মোল্লা

নাটোরের লালপুরের আকাশে ছিলো রোদ-বৃষ্টির খেলা।তার মাঝেই অন্যরকম একটা দিন ছিলো, শোকের মাসের শেষ শুক্রবার, ২৭ আগষ্ট।
কারণ শোকের মাসের শেষ শুক্রবারেই সেখানে বিনম্র শ্রদ্ধায় ভিন্নরকম আয়োজনে পালন করা হয়, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী।

এই আয়োজন ঘিরেই অসচ্ছল দরিদ্র ও অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীরা সমবেত হয়েছিলেন এক ছাদের নিচে।

তাদের কারো বাবা রাজমিস্ত্রির, কারো বাবা পল্লী চিকিৎসক কিংবা কারো বাবা ভ্যান চালক।

বৃত্তি তো নয় যেন আকাশের চাঁদ হাতে পাবার মত অনুভূতি ছিল লালপুরের শোভ গ্ৰামের রাবেয়া সুলতানা শম্পার (২১)।

বাবা শহিদুল ইসলাম পেশায় রাজমিস্ত্রী। শম্পা পড়ে রংপুর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউটে প্যারামেডিক্স ডিপ্লোমা কোর্সে।

শম্পাকে নিয়েই শোক দিবসের আয়োজনে যোগ দিতে এসেছিলেন বাবা শহিদুল ইসলাম।

মেয়ের বৃত্তির অর্থ হাতে পেয়ে আবেগে বাকরুদ্ধ ছিলেন দরিদ্র ও অসহায় এই পিতা।

তিনি জানান, শোক দিবস উপলক্ষে হাফিজ নাজনিন ফাউন্ডেশন যেভাবে আমার সন্তানের শিক্ষার ক্ষেত্রে পাশে দাঁড়িয়েছে তা সত্যিই মনে রাখার মতো।

শম্পা জানান, জাতীয় শোক দিবস ঘিরে অনেক সংগঠন হরেক রকমের আয়োজন করে। দিনশষে সবাই সেটা ভুলেও যায়‌।

“কিন্তু আমাদের মতো শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে এমন ভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করা- সত্যিই অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত-” বলছিলেন, রাবেয়া সুলতানা শম্পা।

শম্পার মতোই অভিন্ন অনুভূতির কথা জানাচ্ছিলেন, মেডিকেল শিক্ষার্থী রাহুল কুমার দাস (২১)। বাগাতিপাড়া দয়ারামপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আনন্দ কুমার দাসের ছেলে রাহুল পাবনা মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
তিনি জানান,রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে লেখাপড়ার সময় হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি, কত অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে বাবা-মা আমাদের লেখাপড়ার খরচ চালাচ্ছিলেন।
হাফিজ নাজনীন ফাউন্ডেশন পাশে ছিল বলে আজ আমরা স্বস্তির সাথে উচ্চশিক্ষা নিতে পারছি। সবচাইতে বড় কথা আমাদের মত মেধাবী এবং অসহায় শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে কেবল উচ্চ শিক্ষাই নয়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং চেতনার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে হাফিজ নাজনিন ফাউন্ডেশন- বলছিলেন রাহুল কুমার দাস।
বিকেলে লালপুর উপজেলার মোড়দহ গ্ৰামে হাফিজ নাজনিন ফাউন্ডেশন চত্বরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাদুঘরের কিউরেটর সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম খান।
হাফিজ – নাজনিন ফাউন্ডেশনের সভাপতি, পুলিশের রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,হাফিজ নাজনিন ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি ও আ.লীগ নেতা আলহাজ্ব আনিছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান।
এর আগে ৬ হাজার অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ শেষে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি