আতিকুর রহমান গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :
খরগোশের মত জন্ম হওয়া গরুর বকনা বাছুরের নাম টুনটুনি । ১৪ মাস বয়সের টুনটুনি সাভারের রানীর রেকর্ড ভাঙতে পারে এটা অনেকের ধারণা ।বয়স মাত্র ১৪ মাস, ওজন ২৩ কেজি, উচ্চতা ২২ ইঞ্চি।
খরগোশের মত ছোট আকারের বকনা বাছুরের জন্ম হয় শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের হায়াৎখারচালা গ্ৰামে আবুল কাশেমের বাড়িতে । ছোট আকারের বকনা বাছুরের নাম রেখেছেন আবুল কাশেমের ছেলে সজিব । সজিব তার বাবা মায়ের অনুমতি নিয়ে ছোট আকারের গরু বকনা বাছুরের নাম রাখে টুনটুনি । গত ১৯ আগস্ট দুই বছর বয়সে অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়া রাণী । খর্বাকৃতির গরু রাণীর উচ্চতা ছিল ২০ ইঞ্চি আর ওজন হয়েছিল ২৬ কেজি। রানী মারা যাওয়ার পর খর্বাকৃতির জন্য সম্প্রতি তার নাম উঠে গিনেস বুকে। রাণীর চেয়ে টুনটুনির উচ্চতা ২ ইঞ্চি বেশি আর ওজন ৩ কেজি কম। স্থানীয়দের আশা সাভারের রাণীর রেকর্ড ভেঙ্গে জীবিত হিসেবে পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গরু টুনটুনি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তালিকায় স্থান করে নিবে অচিরেই।
শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের হায়াৎখারচালা গ্রামের মরহুম আহম্মেদ আলীর ছেলে কৃষক আবুল কাশেমের বাড়িতে ২০২০ সালের জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে জন্ম হয় বকনা (মাদী) টুনটুনি’র। ছোট বকনা বাছুর তার মায়ের ৯ম তম বাছুর ,১০ বারের মত টুনটুনির মা গর্ভবতী অবস্থায় আছে গরুর মালিক কৃষক আবুল কাশেম জানান। গরুর মালিক জানান আমরা জানতামও না এটিই সবচেয়ে ছোট গরু। বাছুরটি এতই ছোট ছিল যে, উচু করে ধরে রেখে মায়ের স্তুনের বাটে মুখ লাগিয়ে দুধ খাওয়ানো হতো। তবে, এমন আকৃতির বাছুর তিনিই নন, গ্রামের কেউই এ পর্যন্ত দেখেননি।
কৃষক আবুল কাশেমের স্ত্রী জরিনা বেগম জানান, দেশী জাতের এ গরুটির বয়স ১৪ মাস হলেও ছোট রয়েই গেছে। সারাদিনই টুনটুনি বাড়ির আঙিনায় লাফালাফি করে তাদের মাতিয়ে রাখে। টুনটুনিকে সন্তানের মত আদর করি। অন্য রকম আনন্দ লাগে। এখন সে পরিবারসহ গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গ্রামের মানুষ টুনটুনিকে দেখতে আসে, এর সাথে ছবি তোলে, কোলে নিতে চায়, আদর করে। এরকম দেখে সত্যিই আনন্দ লাগে। টুনটুনি যদি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তালিকায় নাম উঠায় তাহলে এটা আমাদের গর্বের, আনন্দের।
গাজীপুর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এস.এম উকিল উদ্দিন বলেন, টুনটুনি’র ওজন ২৩ কেজি উচ্চতা ২২ ইঞ্চি বলে জানা গেছে। জিনগত খনিজ খাটতি ও হরমোনের কারণে এমনটি হতে পারে। আমাদের শ্রীপুর উপজেলার প্রাণীসম্পদের প্রধান ডাক্তার রোকনুজ্জামান পলাশ সহ কয়েকজন চিকিৎসক বিষয়টি অবজারভেশন করছে। এমন আকারের গরু তিনি এখনো দেখেননি। তবে রেকর্ডের আওতায় যদি পড়ে তাহলে যাবতীয় ব্যবস্থা করা হবে।
Leave a Reply