জাকির হোসেন সুমন সিলেট ব্যুরোঃ
সিলেটের বিয়ানীবাজার কৃতিসন্তান জিল্লুর রহমান প্রবাসী অধ্যুষিত বিয়ানীবাজার এলাকায় ফুটবল সবসময় জনপ্রিয়তায় শীর্ষ স্থানে থাকে তবে দেশের ফুটবলের শীর্ষস্থানে বিয়ানীবাজার থেকে খুব কম ফুটবলারই খেলার সুযোগ পেয়েছেন। যদি একেবারে স্পষ্টভাবে বলা হয় তাহলে বিয়ানীবাজার থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র দু’জন ফুটবলারের রয়েছে এ কীর্তি। তবে এবার স্থানীয় ফুটবলের ইতিহাসে বিয়ানীবাজারবাসীর জন্য আশার আলো হয়ে এসেছেন ফুটবলার জিল্লুর রহমান।
মাত্র ক’দিন আগে শেষ হয়েছে এবারের বিপিএল ফুটবল। সামনের সিজন শুরু হতে এখনো বেশ কয়েকমাস বাকি। তবে এখন থেকেই দল গোছাতে বসে নেই দলগুলো। বিশেষ করে নবাগত স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। তারই ধারাবাহিকতায় তারা দলে ভিড়িয়েছে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগের সর্বোচ্চ গোল স্কোরার জিল্লুরকে।
জিল্লুরের অন্তর্ভুক্তি দলে আলাদা যেমন শক্তি বাড়িয়েছে, ঠিক তেমনি বিয়ানীবাজারবাসীর গর্বের কারণও হয়েছে। বর্তমানে নিজের ক্যারিয়ারের পিক ফর্মে রয়েছেন জিল্লুর। যেদিকেই খেলছেন, নিজেকে মেলে ধরেছেন আপন মেধায়।
বাংলাদেশ গেমসে সর্বোচ্চ গোল স্কোরার জিল্লুরকে পেতে মরিয়া থাকবে বিপিএলের দলগুলো এটা অনেকটা অনুমেয়ই ছিলো। তবে এমনটা না যে আগে আর ডাক পাননি জিল্লুর। ডাক পেয়েছেন, তবে পরিবার এবং আর্থিক চুক্তি যুতসই হয়নি বলে যাওয়া হয়নি।
এবার বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোল স্কোরার হওয়ার পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি জিল্লুরকে। জামাল ভূঁইয়ার সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব প্রথমেই অফার দিয়েছিলো, তবে সেটা দু’পক্ষের মতের অমিল থাকায় হয়নি। পরে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব এবং চট্টগ্রাম আবাহনী থেকেও অফার এসেছিলো বিয়ানীবাজারের মাথিউরার এই গর্বিত সন্তানের। তবে শেষ মুহূর্তে এই লড়াইয়ে জিতলো স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। তাদের সাথে ১ বছরের চুক্তিতে সিলেটের এই সুপারস্টার।
জিল্লুরের সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি জানান, ‘বিষয়টা গর্বের অবশ্যই আমার জন্য, আমার পরিবারের জন্য এবং আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য। আমি চাই ভালো পারফরম্যান্স করে জাতীয় দলে নিজের জায়গা করতে। আমি যদি আমার খেলাটা খেলতে পারি, তাহলে জাতীয় দলে আমি যেতে পারবো। আমি আমার জন্য সবার কাছে দোয়া চাচ্ছি।
বিয়ানীবাজার থেকে ফুটবল খেলে এতদূর যাওয়া অনেক কষ্টকর বটে। তবে জিল্লুর যেভাবে এগোচ্ছেন, সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে জাতীয় দলে ডাক পাবেন বিয়ানীবাজারের এ তরুণ তুর্কি।
Leave a Reply