1. dainikbijoyerbani@gmail.com : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. hasan@dainikbijoyerbani.com : Hasan :
  3. zakirhosan68@gmail.com : dev : dev
বিরামপুরে ঝড়ে ঘরবাড়ি,বিদ্যুতের খুটি,গাছপালা বিদ্যালয় ও মাঠের ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি - dainikbijoyerbani.com
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৪ অপরাহ্ন
ad

বিরামপুরে ঝড়ে ঘরবাড়ি,বিদ্যুতের খুটি,গাছপালা বিদ্যালয় ও মাঠের ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২১ মে, ২০২২
  • ৮১ Time View

এস এম মাসুদ রানা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ

কালবৈশাখী ঝড়ে দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে ঘরবাড়ি,বিদ্যুতের খুটি,গাছপালা ও মাঠের ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে উড়ে গেছে বিরামপুর পৌর শহরের মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের টিন, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সাইকেল গ্যারেজ, বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।

শনিবার (২১ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সন্ধ্যা রাতে বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল বেগে ঝড় শুরু হলে কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে ও উপড়ে পড়ে। ঝড়ে উড়ে গেছে পৌর শহরের মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমের টিন, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সাইকেল গ্যারেজ,বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সেই সঙ্গে মাঠে থাকা অধিকাংশ জমির ধান হেলে পড়েছে ও পানিতে ডুবে গেছে, ভুট্টা, মরিচ ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়।বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে ও তার ছিঁড়ে বন্ধ হয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন।

উপজেলায় বিদ্যুৎ বিভাগ গাছ সরিয়ে ও ছেঁড়া তার মেরামত করে পুনরায় বিদুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখেন। এ অবস্থায় ক্ষতি কমাতে কৃষি অফিস দ্রুত এসব ধান কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দিচ্ছেন।

স্থানীয় কৃষক সেকেন্দার আলী বলেন, আমি চলতি মৌসুমে ছয় বিঘা জমিতে শম্পাকাটারি ধান লাগিয়েছিলাম। এই ধান পাকতে অন্য ধানের চেয়ে একটু বেশি সময় লাগে।ইতোমধ্যে জমির ধান সব পেকে গেছে। কিন্তু, শ্রমিক সংকটের কারণে ধান ঘরে তোলা হয়নি। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ ঝড় বৃষ্টিতে আমার জমির সব ধান হেলে পড়েছে ও পানিতে ডুবে গেছে। আমার মতো আরও অনেকের একই অবস্থা। এতে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেলো।

এদিকে বিরামপুর পৌর শহরের মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, ঝড়ে আমার বিদ্যালয়ের হল ঘরের টিনের চালাটি উড়ে যায়, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সাইকেল গ্যারেজ এবং বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ আছে। ঘরটি ও সাইকেল গ্যারেজ মেরামত করার মত কোন টাকা পয়সা বিদ্যালয় ফান্ডে নেই।

তিনি আরো বলেন, এই মূর্হতে বিদ্যালয়ের পক্ষে সাইকেল গ্যারেজ ও ঘরটি মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, বিদ্যালয় ফান্ডে যে টাকা ছিল। তা দিয়ে কিছু দিন আগে বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ লাইন সংস্কারসহ বিদ্যালয়ের বেঞ্চ, টেবিল-চেয়ার তৈরি ও মেরামত করেছি।

তিনি ঘরটি মেরামত জন্য স্থানীয় মাননীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক (এমপি), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু, পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাস আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার সহ সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।

বিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু বলেন, ঝড়ে উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। তবে ঝড়ে মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের টিন উড়ে যাওয়া কথা শুনেছি। মাননীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক (এমপি) মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সাইকেল গ্যারেজ, হল রুম মেরামতসহ বিদ্যুৎ সংযোগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি