ভোলা প্রতিনিধি।।
ভোলা সদরের শিবপুর ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়িঘর ভাংচুর-লুটপাট ও নারীসহ ৫ জনকে এলোপাথারী পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। হামলায় আহতদেরকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, তোফাজ্জল হোসেন (৫২), রুমা আক্তার, ইয়ানুর বেগম, মহিউদ্দিন, সোহান।
শুক্রবার (১৫ জুলাই) সকালে সদরের শিবপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের খন্দকার বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের নুর মোহাম্মদ খন্দকার বাড়ীর মোতাহার হোসেন ঘর নির্মানের জন্য বাড়ীতে ট্রলি দিয়ে ইট আনেন। তাতে বাড়ির দরজা পুকুরের দিকে দেবে যায়। ইট বোঝাই ট্রলিটি বাড়ীতে প্রবেশ করার ফলে দরজা পুকুরের দিকে দেবে যাওয়ায় মোতাহারকে পরবর্তীতে ইট বোঝাই ট্রলি বাড়িতে আনতে ওই বাড়ির মহিউদ্দিন, তোফাজ্জল হোসেন নিষেধ করেন। মোতাহার তাদের কথায় কর্ণপাত না করে পুনরায় ইট বোঝাই ট্রলি বাড়িতে আনতে গেলে রুমা আক্তার নিষেধ করেন। এসময় রুমা আক্তার এবং মোতাহার ও তার স্ত্রী পারভীন বেগমের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মোতাহার ও পারভীন বেগম লাঠিসোটা দিয়ে রুমা আক্তারকে এলোপাথারী মারধর করে। তোফাজ্জল হোসেন ছাড়াতে গেলে মোতাহার, পারভীন বেগম, জুনায়েদ, জিহাদ, সুরভী লাঠিসোঠা ও ধাড়ালো অস্ত্র নিয়ে তোফাজ্জল হোসেনকে বেধড়ক মারধর করে। রুমা ও তোফাজ্জলের আত্মচিৎকার শুনে ইয়ানুর বেগম, মহিউদ্দিন, সোহান এগিয়ে গেলে মোতাহার, পারভীন বেগম গংরা তাদেরকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। এসময় হামলাকারী মোতাহার গংরা রুমা আক্তার ও ইয়ানুর বেগমের কানের দুল, কলার স্বর্ণের চেইন ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এছাড়াও হামলাকারী মোতাহার গংরা রুমা আক্তারের ঘর ভাংচুর করে এবং ঘরে থাকা নগদ টাকা ও দামী মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা এসে আহতদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আহতদের সূত্রে জানা গেছে।
আহত রুমা আক্তার বলেন, মোতাহার হোসেন ইটের গাড়ী এনে রাস্তা ভেঙে ফেলছে। ইটের গাড়ি বাড়ির ভিতরে না এনে রাস্তায় ইট রেখে হাতে আনার কথা বলি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোতাহার হোসেন, তার স্ত্রী পারভীন বেগম, ছেলে জুনায়েদ, জিহাদ, মেয়ে সুরভী লাঠিসোঠা নিয়ে আমাদেরকে এলোপাথারী মারধর করে এবং আমার ঘর ভাংচুর চালিয়ে লুটপাট করে নিয়ে যায়। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।
অভিযুক্ত মোতাহার হোসেন বলেন, আমি ঘর নির্মানের জন্য বাড়িতে ইট আনতে গেলে রুমা ও তোফাজ্জল হোসেন বাঁধা দেয়। তারা আমাকে বাড়িতে ইট আনতে নিষেধ করে। এ নিয়ে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা আমার মেয়ে ও ছেলেকে মারধর করে। আমি কাউকে মারধর কিংবা ঘর ভাংচুর করিনি। তারা নিজেরাই ঘর ভেঙ্গে আমাকে দোষারোপ করছে।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply