1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় মেঘনা নদীতে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত কয়েকটি গ্রাম। - dainikbijoyerbani.com
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪ অপরাহ্ন
ad

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় মেঘনা নদীতে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত কয়েকটি গ্রাম।

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৭ মে, ২০২১
  • ৬৪ Time View

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় মেঘনা নদীতে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত কয়েকটি গ্রাম।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রতিনিধি,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
,,,,
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া, বড় মানিকা,টগবী এবং হাসানগর এলাকায় ব‍্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আজ বুধবার বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসান নগর ইউনিয়নের হাজি বাড়ি সংলগ্ন বেড়িবাঁধটির একাংশ ছিঁড়ে যায়।
এতে প্রবল বেগে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
সাধারণ মানুষের চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য যে গতকাল রাত ২টা ও ৪টার দিকে ফাটল দেখা দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় জনগণের সহায়তায় মেরামত করা হয়েছিল।
ফাটল অংশ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব সাইফুর রহমান,উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব সোয়েব আহমেদ।
ইতি মধ্যে বেড়ী বাঁধ বিভিন্ন দুর্বল পয়েন্টে বালি ভর্তি জিও ব্যগ ফালোনোর কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য যে ভোলার বোরহানউদ্দিনে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব ও পূর্ণিমার জোর কারণে মঙ্গলবারে থেকে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় অন্তত ৩ হাজার ঘর-বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া হাকিমুদ্দিন বাজারের প্রায় দুইশত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এক কোমর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। মেঘনা সংলগ্ন হাসান নগর ইউনিয়নের এক কিলোমিটার কাঁচা সড়ক সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া টবগী ও হাসাননগর ইউনিয়নের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকার কাঁচা সড়ক ধসে গেছে। উদয়পুর-হাকিমুদ্দিন পাকা সড়কের ওপর দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছে।

স্থানীয় হাকিমুদ্দিন বাজার তলিয়ে দুই শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২ কোটি টাকার মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। নদী সংলগ্ন ৪ ইউনিয়নের পুকুর ও ঘেরের ৫ লক্ষাধিক টাকার মাছ চলে গেছে। উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত হাকিমুদ্দিন রুহুল আমিন হাজি, উজ্জ্বল হাওলাদার জানান, ২ শতাধিক ব্যবসায়ীর প্রায় ২ কোটি টাকার মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া লঞ্চঘাটের স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হাসাননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মানিক হাওলাদার জানান, ওই ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁধের বাইরের অংশে ও বেড়িবাঁধে বাস করা প্রায় ২ হাজার মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া হাকিমুদ্দিন-মৃজাকালু কাঁচা সড়ক অধিকাংশ স্থান দিয়ে ধসে গেছে।

টবগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল আহসান চৌধুরী জানান, তার ইউনিয়নের ৩, ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ১ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নিম্ন আয়ের মানুষ। এছাড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাকিমুদ্দিন টু খাসমহল কাঁচা সড়ক ধসে গেছে।
পক্ষিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাগর হাওলাদার জানান, তার এলাকার ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এছাড়া বড়মানিকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিমউদ্দিন হায়দার জানান ৬, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ১ শত পরিবারের ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়।

এছাড়া পৌর এলাকার ১, ২, ৩, ৪, ৫ ও ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের কয়েকশত পরিবার প্লাবিত হয়েছে বলে পৌর মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুর রহমান জানান, ইয়াস মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি