আতিকুর রহমান
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ২ নং গাজীপুর ইউনিয়নে গরু ছাগল এবং কি হাঁস-মুরগি পালন করেনা এমন অনেক মানুষ পেয়েছে সরকারি খামারি প্রণোদনা বলে অভিযোগ উঠেছে।
আত্মীয়-স্বজন অথবা (২০০০) টাকা করে দিয়েছে তাদের নামে জুটেছে এই সরকারি প্রণোদনা।
এসব সরকারি প্রোণোদনার টাকা অথচ প্রকৃত খামারিরা সরকারি মাঠকর্মীদের চাহিদামত ঘুষ না দিতে পারায় তাদেরকে প্রণোদনা দেওয়া হয়নি খামারিদের অভিযোগ।
শ্রীপুর উপজেলার ২ নং গাজীপুর ইউনিয়নের প্রণোদনা প্রদানের তালিকার দায়িত্বে থাকা প্রাণিসম্পদ এলএসপি প্রকল্পের কর্মী ও পল্লী চিকিৎসক সারোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার অভিযোগ খামারিদের।
খামারি দেলোয়ার হোসেন জানান প্রণোদনা দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা নিয়েছে একই এলাকার আরফান আলীর ছেলে সারোয়ার হোসেন, দেলোয়ার হোসেনের ভাই শামসুল হকের কাছ থেকে নিয়েছে ২০০০ টাকা দেয়নি কোন সরকারি প্রণোদনা। খামারি নিজমাওনা গ্রামের মৃত কাসেম ফকিরের সন্তান খলিল ফকির জানান আমার কাছে ৫০০০ টাকা চেয়েছিল না দেওয়াতে আমার খামার থাকা সত্ত্বেও আমি সরকারি প্রণোদনা পাইনি। একই গ্রামের কামাল উদ্দীনের ছেলে ফজলু ফরাজী আমার কাছে ৫০০০ টাকা দাবি করেন সারোয়ার টাকা না দেওয়াতে আমার আমার থাকা সত্ত্বেও সরকারি প্রণোদনা পাইনি।
তৈবুর রহমানের ছেলে ফজলে রাব্বী জানান আমাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বেসরকারি প্রণোদনার ব্যাপারে মিটিং করেছে কিন্তু আমার কাছে ৩০০০ হাজার টাকা দাবি করেছিল না দেওয়াতে লিস্টে আমার নাম নেই। দিলদার হোসেনের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন জানান আমাকে সরকারি প্রণোদনা দিবে বলে তিনবার আমার কাছ থেকে কাগজ নেই কিন্তু টাকা চেয়েছিল না দেওয়াতে আমার প্রণোদনা পাইনি। জানা যায় একই এলাকার একটি গরু আছে সেও পেয়েছে ১০,০০০ টাকা কোন হাঁস মুরগি অথবা গরুর খামার নেই সেও পেয়েছে ২২০০০ টাকা।
জানান আমার কাছ থেকেও ২০০০ টাকা নিয়েছে কিন্তু আমাকে দেওয়া হয়নি সরকারি খামারের প্রণোদনা এমন আরও অনেকের কাছ থেকেই প্রণোদনার কথা বলে হাতিয়ে নিয়েছে টাকা পল্লী চিকিৎসক সারোয়ার হোসেন।
অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক সারোয়ার হোসেন বলেন ২নং গাজীপুর ইউনিয়নে এক হাজারেরও বেশি খামারী রয়েছে এদের মধ্য থেকে সরকার প্রথম ধাপে ২০০ জনকে এই প্রণোদনা দিয়েছে।
যাহারা পাইনি তারা এমন অভিযোগ করেছে কারো কাছ থেকে কোন টাকা নেওয়া হয়নি দাবি সারোয়ার হোসেন এর।
শ্রীপুর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা, রোকনুজ্জামান পলাশ বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই এখনও কোনও খামারিদের এমন অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে সারোয়ারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা, উকিল উদ্দিন বলেন সরকারের প্রণোদনা নিয়ে যদি কেউ এমন করে থাকে প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply