শামিম আহমদ কবিরঃ দোয়ারাবাজার থেকে
রিমঝিম করে অঝোরে ঝরছে বৃষ্টি।বৃষ্টিঝরা যেন নিত্য পরিকল্পনার অংশ।প্রতিনিয়ত নিরলস ভাবে বৃষ্টি অতিষ্ঠ জনজীবন। চারদিকে পানির হিল্লোল। নদী,নালা খাল বিল ব্রিজ কালভার্ট ড্রেন, হাওর কোথাও কমতি নেই পানি। চারদিকে পানি আর পানি টইটম্বুর করছে।নদী যেন ফিরে পেয়েছে হারানো যৌবন।এইতো সাপ্তা খানেক আগে রোপণ করা হয়েছে আমন ধানের চারা। চারা শিকড় গেঁড়ে দাড়ানোর আগেই পানির নিচে হাবুডুবু খাচ্ছে।
গত সাপ্তা দশেক ধরে অবিরাম বৃষ্টিতে আমন ধানক্ষেতে সাতার পানি জমে গেছে।সাপ্তা বয়সী ধানের চারা নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় কৃষকেরা। তার পরও যদি কিছু ধানের চারা পানি থেকে রক্ষা পায় সেই প্রত্যাশার প্রহর গুনছে তারা।এভাবেই বলছিলেন সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের কলাউড়া গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম ও নবির হোসেনসহ বেশ ক,জন কৃষক।
উপজেলার কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় আট একর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করেছিলাম, কিন্তু এভাবে পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পেলে ধানের চারা পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার সদর,বাংলাবাজার, বাশতলা,মৌলারপাড়,পশ্চিম কলনী,সুরমা,মোহাব্বতপুর,লক্ষিপুর,নরসিংপুরসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন হাওরে কয়েক হাজার কৃষকের আমন ধান ক্ষেত অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বিনষ্ট হওয়ার পথে।
এদিকে বাংলাবাজার ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কৃষক নবির হোসেন বলেন,চিলাই,খাসিয়ামারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে হাওরে ডুকে পরে এতে আমার সদ্য রোপণ করা আমন ধানের চারা তলিয়ে যায়। নিজের যেটুকু সম্বল ছিল তাসহ প্রতিবেশীর কাছ থেকে ঋণ নিয়ে প্রায় ৯ একর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করেছি। কিন্তু এই ফসল নষ্ট হলে ঋণ পরিশোধ করার পথও খুঁজে পাবনা।
বক্তার পুর গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, আমার কোন উপায় নেই, ফসল যায়যায় অবস্থা।সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে জমিতে ধান চাষ করেছি। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম আহমদ চৌধুরী (রানা) বলেন, ক,দিন বৃষ্টিতে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে দিনমজুররা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আমি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
Leave a Reply