মোঃ জহুরুল ইসলাম সৈকত,বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার শিবগঞ্জ মহাস্থানে ভাসমান এক পাগলি ফুটফুটে শিশু পুত্র সন্তান জন্ম দিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থানগড় হযরত শাহ সুলতান মাজার এলাকায় মানসিক ভারসাম্যহীন ভাসমান এক পাগলীর গর্ভে সন্তান ধারণ হয়েছে।
কিন্তু খোঁজ মেলেনি নবগত শিশুর পিতার। স্থানীয়রা জানায়, গত ৩/৪ মাস হলো মহাস্থান মাজারে এই পাগলীর আগমন। পরে ধীরে ধীরে অন্তঃসত্ত্বা দেখা যায়। এরপর প্রাকৃতিক নিয়মে প্রায় ২ সপ্তাহ আগে পাগলির কোলজুড়ে সুদর্শন ফুটফুটে একটি পুত্র সন্তান ভূমিষ্ট হয়। এরই মধ্যে শিশুটি জন্মের ৯ দিনপর হঠাৎ নিখোঁজ হয়। বেড়ে যায় পাগলির তীব্রতা। শিশুকে না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। সদ্য জন্মা শিশুটিকে বুকের দুধ দিতে না পারায় অনেক ব্যথায় কাতর হয়ে চিৎকার করতে থাকে বলে স্থানীয়রা জানায়৷ পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, শিশুটিকে সুন্দর ভাবে লালন- পালন করতে মহাস্থান নামাপাড়া গ্রামের খোকন নামের যুবক নিজ দায়িত্বে ভরনপোষণ করে বড় করতে নিঃসন্তান এক নারীকে দেন। এদিকে শিশুকে হারিয়ে পাগলির উশৃংখল বেড়ে যায়। একপর্যায়ে শিশুটি চুরি হয়েছে বলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে এলাকাবাসী ওই যুবকের সন্ধান নিশ্চিত করে শিশুটিকে ৪দিনপর পাগলির কোলে ফিরিয়ে দেয়। বর্তমান পাগলি মা মহাস্থান হযরত শাহ সুলতান মাজারের পাশে রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো পাগলি পুত্র সন্তান জন্ম দিয়ে পৃথিবীর আলো দেখালেও সেই সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের কোনো হদিস নেই।
সন্তান ফিরে পাওয়ার পর, এবিষয়ে পাগলির সাথে কথা বলে শিশুটির নাম জানতে চাইলে, সে বলে “ছেলের নাম তুফান” ।
এবিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উন্মে কুলসুম সম্পা বলেন, পাগলির বাচ্চা হয়ে গাছতলায় বসবাস করছে এমন সংবাদ পেয়ে রাতেই ওই প্রতূশ্রতিকে মাজার কর্তৃপক্ষ থেকে নির্মিত আশ্রয়ণ হিসেবে একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
সেখানে তার চিকিৎসা সেবারও ব্যবস্থা করা হবে। পরে তিনি পাগলির শিশু পুত্রের পিতৃ পরিচয় খুঁজে বের করতে থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। পাগলি মায়ের শিশুটি চুরির আতঙ্ক এখনো কাটেনি।
শিশুটিকে দেখতে সেখানে প্রতিদিন উৎসুক জনতা ভিড় করছে।
Leave a Reply