1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
কুমারখালী ও খোকসা ইউপি নির্বাচনে বিজয় বিপর্যয়ে পর্যদুস্ত নৌকা - dainikbijoyerbani.com
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন
ad

কুমারখালী ও খোকসা ইউপি নির্বাচনে বিজয় বিপর্যয়ে পর্যদুস্ত নৌকা

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ২২১ Time View

আবীর হাসান স্বাধীন কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।

চতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচনে কুষ্টিয়ায় দুটি উপজেলায় ২০টি ইউনিয়নে প্রত্যাশিত বিজয় দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে আওয়ামী লীগ। বিজয় বিপর্যয়ে পর্যদুস্ত হয়েছে দেশের বৃহত্তম দল আওয়ামী লীগ। দুটি উপজেলার পুরো ২০ ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ৫টিতে জয় দেখাতে পেরেছে দলের মনোনিত প্রার্থীরা। অন্যদিকে ভাল ফল করেছে বিদ্রোহীরা যারা মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন।

আগের ধাপে জেলার মিরপুর-দৌলতপুর ও ভেড়ামারার বিপর্যয় থেকে দলটির জন্য অনেক কিছু শিক্ষণীয় ছিল। কিন্তু তা আমলে নেয়া হয়নি। ফলে দলের স্থানীয় পর্যায়ে কোন্দল, ভাগাভাগি ও চাটুকারিতায় বলি হচ্ছে বর্তমান সরকারের আকাশচুম্বী উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা। তবে এবারের চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে যারা স্বতন্ত্র, বিদ্রোহী এবং বিএনপির প্রার্থীর অধিকাংশই বিপুল পরিমাণ পরিমাণ ভোটের ব্যবধানে নৌকাকে পরাজিত করেছে।

কুষ্টিয়া কুমারখালীতে ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা জয় পেয়েছে মাত্র ৩টিতে, ৮টিতে বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী-স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি পন্থীরা। কয়া ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী হোসেন, সদকী ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মিনহাজুল আবেদিন দ্বীপ, বাগুলাটে নৌকার প্রার্থী আজিজুল হক নবা, যদুবায়রা ইউনিয়নে নৌকার মিজানুর রহমান মিজান। অন্যদিকে শিলাইদহে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী হাসান তারেক বিপ্লব, জগন্নাথপুর ইউনিয়নে আব্দুল্লাহ আল বাকী বাদশা, নন্দলালপুরে জিয়াউর রহমান, চাপড়া ইউনিয়নে এনামুল হক মনজু, চাঁদপুর ইউনিয়নে হাফিজুর রহমান তুষার, পান্টি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি পন্থী হাফিজুর রহমান ও চরসাদিপুরে মেছের আলী খান।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার ভয়াবহ ভরাডুবি হয়েছে। অপ্রকাশিত প্রাথমিক ফলাফলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া ৮ ইউনিয়নে নৌকা জয় পেয়েছে মাত্র দুটিতে। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা জিতেছে ৪টিতে। আর বিএনপি পন্থী জিতেছে দুটিতে। মনোনয়নে টাকার বাণিজ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের নৌকা প্রতীক দেয়ার কারনে এ বিপর্যয় বলে মনে করা হচ্ছে।

খোকসার জানিপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র মজিবর রজমান মজিদ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে। শিমুলিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস প্রতীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে। ওসমানপুর ইউনিয়নে বিএনপি পন্থী ওয়াহিদুল ইসলাম ডাবলু বিজয়ী হয়েছে। শোমসপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী বদর উদ্দিন খান বিজয়ী হয়েছে। আমবাড়িয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আকমল হোসেন জয়লাভ করেছে। খোকসা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল মালেক, গোপগ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতালেব হোসেন ও জয়ন্তীহাজরা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাকিব হাসান টিপু বেসরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছে। অন্যদিকে বেতবাড়িয়া ইউনিয়নে আগেই বিজয়ী হন খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আকতার।

এদিকে আওয়ামী লীগের এই ভয়াবহ পরাজয়ে দলের নেতাকর্মীরা দুষছেন মনোনয়নে চরম ধরনের অনিয়মকে। খোকসা উপজেলা এবারের নির্বাচনে খুবই গুরুত্বর্পণ ছিল। উপজেলার নির্বাচনের প্রতি সবার দৃষ্টি ছিল। কারন এই উপজেলাতেই বসবাস করেন আওয়ামী লীগের জেলার র্শীর্ষ নেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান। সদর খানের একক সিদ্ধান্তে ও কতৃত্বে এই উপজেলাতে মনোনয়ন দেয়া হয় বলে জানা যায়।

এখানে প্রকৃত যোগ্য ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন আওমী লীগের অসংখ্য ত্যাগী নেতা-কর্মী। এ বিষয়ে জেলা পর্যায়ের একাধিক নেতার সাথে যোগাযোগ করেও কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি